ফল প্রকাশ ছাড়াই কুবির আইন বিভাগে নতুন সেমিস্টারের পরীক্ষা চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বিএমডিএ’র চেয়ারম্যান ড. এম আসাদুজ্জামান নাটোরের লালপুরে তিন দিন ব্যাপী ভূমিমেলা শুরু চা শ্রমিকদের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে কাজ করছি : শ্রম সংস্কার কমিশনের কমিশন প্রধান নাগেশ্বরীতে ভূমি মেলার উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিব্বির আহমেদ কালিগঞ্জে তিন দিনব্যাপী ভূমি সেবা মেলার উদ্বোধন রাবি সিরাজগঞ্জ জেলা সমিতির সভাপতি বারিক, সাধারণ সম্পাদক বিজয় কালিগঞ্জে অপদ্রব্য পুশকৃত চিংড়ি ধ্বংস, দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা কিশোরগঞ্জে ভূমি সেবায় জনসচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত পটুয়াখালীর গলাচিপায় ভূমি মেলা উদ্বোধন স্বৈরাচার সকল ছিদ্র বন্ধ করলেও পতনের ছিদ্র বন্ধ করতে পারে না- ডা. শফিকুর রহমান মোংলা বন্দরে শুনানীসহ আইন অনুসারে উচ্ছেদ ও পুনর্বাসন হবে কবি কাজী নজরুল ইসলামের সৃষ্টিকর্ম আমাদেরকে চিরদিন স্বদেশ প্রেমে অনুপ্রাণিত করবে : তারেক রহমান জয়পুরহাটে ভিজিএফ কার্ড বিতরণ নিয়ে দু-পক্ষের সংঘর্ষ, আহত-৪ শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে তিন দিনব্যাপী ভূমি মেলার উদ্বোধন শ্যামনগর ভূমি মেলা শুরু থাকছে নানান সেবা টাঙ্গাইলের মধুপুরে শালবনে আবার শাল গাছ ফেরত আনা হবে : রিজওয়ানা হাসান সন্ত্রসী হামলায় নিহত যুবদল নেতা তনু ফকির এর কবর জিয়ারত করলেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ। নোয়াখালীতে রাফির হত্যাকারীকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ শেরপুরে ভূমি মেলা উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি অনুষ্ঠিত

চা শ্রমিকদের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে কাজ করছি : শ্রম সংস্কার কমিশনের কমিশন প্রধান

চা শ্রমিকদের ৭ দফা দাবিতে শ্রীমঙ্গলে কনভেনশন ও লাল পতাকা মিছিল


'বৈষম্য দুর কর, চা শ্রমিকদের জন্য ন্যায্য মজুরি নির্ধারণ কর, চা শ্রমিকদের দৈনিক নগদ মজুরি ৬০০ টাকা নির্ধারণের দাবি তুলে ধরুন, চা শ্রমিক ফেডারেশনের নেতৃত্বে ন্যায্য মজুরি, ভূমি অধিকার, সামাজিক সুরক্ষা, মর্যাদাপূর্ণ মানবিক জীবন প্রতিষ্ঠায় ৭ দফার সংগ্রামকে শক্তিশালী করুন' এসব শ্লোগান ও ৭ দফা দাবি নিয়ে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে চা শ্রমিক কনভেনশন ও লাল পতাকা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (২৫ মে) দুপুরে শহরের শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত চা শ্রমিক কনভেনশনে প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রম সংস্কার কমিশনের কমিশন প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, চা বাগানের শ্রমিকরা ১৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বঞ্চিত জীবন যাপন করছেন। আমি সারাদেশ ঘুরে শ্রমিকদের দুঃখ-দুর্দশার চিত্র দেখছি। কাজেই দেশের ৭টি চা ভ্যালিতেই এ ধরণের কনভেনশন হবে এবং প্রতিটি এলাকা থেকেই দাবি সংগ্রহ করে এগুলোর বাস্তবায়নে আমরা কাজ করব। তিনি আরও জানান, চা বাগান বিষয়ক বহু প্রকাশনা ও গবেষণা সংগ্রহ করে তিনি একটি স্থায়ী নীতিমালা তৈরির উদ্যোগ নিচ্ছেন।

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আবুল হাসানের সঞ্চালনায় কনভেনশন সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিপ্লব মাদ্রাজি পাশি। কনভেনশনের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) নেতা কমরেড আবুল হাসান। 

প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন 
সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি শ্রমিক নেতা রাজেকুজ্জামান রতন। আলোচক হিসেবে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) মৌলভীবাজার জেলা সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট মঈনুর রহমান মগনু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) হবিগঞ্জ জেলা সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট জুনায়েদ আহমদ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) সিলেট জেলা আহবায়ক আবু জাফর, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আবুল হাসান।

এছাড়াও আলোচনায় অংশ নেন, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ঘোষ, সাংবাদিক কলামিস্ট সৈয়দ আমিরুজ্জামান, চা শ্রমিক আদিবাসী নেতা পরিমল সিংহ বাড়াইক, সাইদুল ইসলাম সোহেল, ভজন, রাজিব মিয়া, এম এ আহাদ, বীরেন শীল, তুম্পা চাষী, বিমল কর্মকার, প্রেম কুমার পাল সহ বিভিন্ন জাতীয় শ্রমিক সংগঠন, আইনজীবী, সাংবাদিক, শিক্ষক, দেশের ৬টা ভ্যালীর বিভিন্ন চা বাগানের সাবেক ও বর্তমান পঞ্চায়েত কমিটি এবং বিভিন্ন চা শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। 

বক্তারা বলেন, চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন ছাড়া জাতীয় উন্নয়ন অসম্ভব। এই আন্দোলন শুধু চা শ্রমিকদের নয়, এটি একটি জাতীয় মানবিক ইস্যু। তারা বলেন, চা-শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরিসহ অন্যান্য মৌলিক অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার দায়িত্ব শুধু মালিকপক্ষের মর্জির ওপর ছেড়ে দেয়া ঠিক নয়। চা শ্রমিকদের দেশের নাগরিক হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে তাদের প্রাপ্য অধিকার নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে চলমান আন্দোলনের যৌক্তিকতা অনুধাবনের পাশাপাশি সমতাভিত্তিক আলোচনার মাধ্যমে চা শ্রমিকদের নিকট গ্রহণযোগ্য মজুরি নির্ধারণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

চা শ্রমিক নেতারা বলেন, আলাপ আলোচনার মাধ্যমে চা শ্রমিকদের মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপন উপযোগী যৌক্তিক মজুরি নির্ধারণ করতে হবে। এ নিয়ে কোনো তালবাহানা ও গড়িমসি গ্রহণযোগ্য না। চা শ্রমিকরা দৈনিক ৮ ঘন্টা শ্রম দিয়ে অর্থনীতিতে যে অবদান রাখছে তার পূর্ণ পারিশ্রমিক দিতে হবে। 

Tag
আরও খবর