শিক্ষিত বেকারেরা দেশের জন্য বোঝা হয়ে গেছে : জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তফা আল মাহামুদ লাখাইয়ে আলখিদমা রক্তদান সোসাইটির ফ্রী ব্লাডগ্রুপ টেস্ট কর্মসূচী। লাখাইয়ে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামুল্যে বীজ ও সার বিতরণ। চিলমারীতে বৃষ্টির জন্য খোলা আকাশের নিচে বিশেষ নামাজ আদায় পাবিপ্রবিতে গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষার যাবতীয় প্রস্তুত সম্পন্ন বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নতি দেখে আমরা এখন লজ্জিত হই : পাক প্রধানমন্ত্রী জিম্বাবুয়ে সিরিজ ও ডিপিএলে খেলবেন সাকিব আগামী ২৮ এপ্রিল খুলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বন্ধ থাকবে অ্যাসেম্বলি ক্ষেতলালে চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজ্জাসী চৌধুরীর ছয় দফা অঙ্গীকার নালিতাবাড়ী থানা পুলিশের অভিযানে ভারতীয় মদসহ দুইজন গ্রেফতার টিকটক করে তদন্ত কমিটির সম্মুখীন হচ্ছে বশেমুরবিপ্রবির এক কর্মচারী বশেমুরবিপ্রবিতে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে গৃহবধূর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার, আটক-১ হোয়াইক্যংয়ে মানুষ-হাতি দ্বন্ধ নিরসনে সচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত র‌্যাবের অভিযানে মাদক মামলার পরোয়নাভুক্ত দুই আসামী গ্রেফতার টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ৩০ হাজার ইয়াবাসহ নৌকা জব্দ টেকনাফে চালক মোস্তাককে খুন করে টমটম ছিনতাই মামলার ৬আসামী গ্রেফতার ; টমটম উদ্ধার অবৈধ রেশন বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গা নেতা খুন: নেপথ্যে আরসা রোহিঙ্গাদের কারণে কক্সবাজারে দীর্ঘস্থায়ী খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা টেকনাফে কোস্ট গার্ডের অভিযানে ইয়াবা উদ্ধার

তিস্তার পানিতে পশ্চিমবঙ্গে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প, দুশ্চিন্তায় ঢাকা

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার দার্জিলিং এলাকায় তিনটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে দুটি প্রকল্প শুষ্ক মৌসুমে তিস্তা নদীতে পানিপ্রবাহ কমিয়ে দেবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর তাতে আরও বেশি সংকটে পড়তে পারে ঢাকা। ভারতীয় ইংরেজি দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে এমন আভাস দেওয়া হয়েছে।


সূত্রের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গ সরকার ‘বড়া রংগিত’ নদীতে তিস্তা লো ড্যাম প্রকল্প ১  (টিএলডিপি) ও ২–এর বিশদ প্রতিবেদন তৈরির প্রস্তাবের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। এ দুই জলবিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে যৌথভাবে ৭১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। বালাসন এবং রংভাং নদীতে বালাসন জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বিশদ প্রতিবেদন তৈরির প্রস্তাবেও একইভাবে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।


পাশাপাশি আরও ১০টি ক্ষুদ্র জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত বিশদ প্রকল্প প্রতিবেদন প্রস্তুতের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে এসব প্রকল্পের সব কটিরই সম্ভাব্যতা যাচাই করতে হবে।


এর মধ্যে টিএলডিপি ১ ও টিএলডিপি ২ প্রকল্প নিয়ে মানুষের মধ্যে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। কারণ, বড়া রংগিত নদীতে এ দুটো প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ নদীটি তিস্তা নদীর যে অংশ বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে সেই অংশের সঙ্গে যুক্ত।


এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারতের সঙ্গে তিস্তা পানিবণ্টন চুক্তির অপেক্ষায় আছে বাংলাদেশ। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে তিস্তা পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কথা ছিল। তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতায় তা বাতিল হয়ে যায়।


মমতার দাবি, বিশেষ করে শুষ্ক মৌসুমে দুই দেশের সেচের চাহিদা মেটানোর মতো যথেষ্ট পরিমাণ পানি তিস্তায় নেই। তিস্তা পানিবণ্টন চুক্তিতে দেরি হওয়া নিয়ে গত কয়েক বছরে ঢাকা বারবারই দিল্লির কাছে অস্বস্তি প্রকাশ করে আসছে। তবে দিল্লি ও কলকাতার মধ্যে টানাপোড়েনের কারণে এ নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি হয়নি।


ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশের সেচের পানির চাহিদা বেশি থাকে। তিস্তা নদীতে পানি সরবরাহ কম থাকলে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের জমিগুলোতে সেচ কাজ করা যায় না। এতে জমিগুলো চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রস্তাবিত জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে তিস্তা নদীতে শুষ্ক মৌসুমে পানিপ্রবাহ আরও কমে যাবে। তাতে বিপদে পড়বে বাংলাদেশ।


সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের সেচ বিভাগ তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্পের আওতায় আরও দুটি খাল খননের পরিকল্পনা করছে বলে খবর প্রকাশের পর ঢাকা আরও আশাহত হয়েছে।বাংলাদেশের সূত্রের বরাতে টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বছরের শেষের দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে এ বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ভারতের উত্তরবঙ্গে প্রস্তাবিত জলবিদ্যুৎ প্রকল্প এবং সিকিমে ১১ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ঢাকার জন্য আরেকটি দুঃসংবাদ হয়ে উঠেছে।


প্রস্তাবিত জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো নদীভিত্তিক প্রকল্পের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। এর মানে হল, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য যে পানি টেনে নেওয়া হবে তা পরবর্তী সময়ে আবারও নদীতেই ফিরে যাবে।  তবে এক নদী বিশেষজ্ঞ বলেছেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত পানি সেচকাজের জন্য পাওয়া যাবে না।


প্রকল্পসংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এ ধরনের জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ক্ষেত্রে দিনের বেলা নদী থেকে পানি টেনে নেওয়া হয়। সন্ধ্যায় যখন বিদ্যুতের চাহিদা অনেক বেশি থাকে তখন বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সে পানি ব্যবহার করা হয়। এরপর রাতে সে পানি নদীতে ফেরত পাঠানো হয়। আর ওই সময়ে সেচের পানির কোনো চাহিদা থাকে না বললেই চলে।


ঢাকার একটি সূত্রের বরাতে টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য তিস্তা ইস্যুকে ঝুলিয়ে রাখতে পারি না। ওই পানির বৈধ দাবিদার আমরা। তার চেয়েও জরুরি বিষয় হলো, এটি নদীটির বাঁচা মরার প্রশ্নও।’


টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইস্যুটির স্পর্শকাতর হওয়ায় ওই সূত্র নাম প্রকাশে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন। ভারতের নদী বিশেষজ্ঞরাও মনে করেন, সেচকাজ ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে তিস্তার পানি ব্যবহারের দিকে এত বেশি ঝুঁকে পড়লে নদীটি শুকিয়ে যেতে পারে। ভারতের সেচের চাহিদা মেটানোর কথা বলে দুটি খাল খননের যে যৌক্তিকতা দেখানো হচ্ছে তা বাড়াবাড়ি বলে মনে করেন এক বিশেষজ্ঞ।


সূত্রের ভাষ্য, ‘জমে থাকা পলি স্থানান্তরের জন্য নদীর তলদেশে যথেষ্ট পানিপ্রবাহ থাকা জরুরি। বৈচিত্র্যের জন্যও পানি প্রবাহের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। সেচকাজ ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য তাড়াহুড়া করতে গিয়ে এ দুটি ইতিবাচক বিষয়কে প্রায়ই উপেক্ষা করা হয়। তিনি বলেন, জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের পরিকল্পনাকারীদের উচিত উত্তরাখন্ডের জোশিমঠ শহরের বিপর্যয় থেকে শিক্ষা নেওয়া। জোশিমঠে ভূমি ধস ও বিভিন্ন ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেখা গেছে। এর জন্য কেউ কেউ একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পকে দায়ী করে থাকেন।


এক নদী বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘পূর্বাঞ্চলীয় হিমালয় পর্বত এলাকা যে অস্থিতিশীল এবং অত্যন্ত বৃষ্টিপ্রবণ তা কারও ভুলে গেলে চলবে না। আরও জলবিদ্যুৎ প্রকল্প করার মানে হলো, আরও বেশি করে বন উজাড় করা এবং বিস্ফোরণের প্রযুক্তি ব্যবহার করে সুড়ঙ্গ তৈরি করা। আমি মনে করি, আমরা প্রকৃতির ওপর কতটা হস্তক্ষেপ করতে পারব তার একটা সীমারেখা থাকা উচিত।’


পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা যুক্তি দেখাচ্ছেন, তাপবিদ্যুতের ওপর নির্ভরতা কমাতে জলবিদ্যুতের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। এক সূত্র বলেছে, ‘প্রত্যেক রাজ্যের জন্য জলবিদ্যুৎ কেনার বাধ্যবাধকতা এবং সবুজ বিদ্যুৎ (নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করে উৎপাদিত বিদ্যুৎ) উৎপাদনের আদেশ জারি আছে। কেন্দ্রীয় সরকার থেকে এসব নির্দেশ এসেছে।’


তবে জোশিমঠের বিপর্যয়ের কথা চিন্তা করলে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোকে আদৌ ‘সবুজ’ প্রকল্প বলা যায় কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এক নদীবিশেষজ্ঞ। তিনি বলেন, বিভিন্ন রাজ্যের সরকার এবং এনএইচপিসির মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলো (যারা সিকিমে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য তিস্তার পানি ব্যবহার করছে) একে অপরের সঙ্গে যথেষ্ট আলাপ না করেই নিজস্ব জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিচ্ছে। একে দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেন তিনি।


এ ব্যাপারে আক্ষেপ করে ওই নদী বিশেষজ্ঞ বলেন, নদীটিকে কীভাবে বাঁচাতে হবে, তা নিয়ে খুব কমই আলোচনা হয়।

আরও খবর






6629e2706762a-250424105616.webp
আজও অস্বাস্থ্যকর ঢাকার বাতাস

১৯ ঘন্টা ২৮ মিনিট আগে


6629acddc0a2d-250424070741.webp
বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস আজ

২৩ ঘন্টা ১৭ মিনিট আগে