দিনাজপুর ফুলবাড়ী উপজেলার ১নং এলুয়ারী ইউনিয়নের শালগ্রাম নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যাখলয়ে নিয়োগ নিয়ে চলছে গড়িমশি।তিন তিনবার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েও এখন পর্যন্ত সম্পন্ন হয়নি নিয়োগ কার্যক্রম।এদিকে চাকুরী প্রত্যাশীরা নিয়োগের প্রতিক্ষায় প্রহর গুনছে।
অনেক আবেদনকারী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন নিয়োগ যদি ভিতরে ভিতরেই সম্পন্ন হয় তাহলে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ১হাজার টাকা করে ব্যাংক ড্রাফট্ নিয়ে কেন আমাদের মত বেকার যুবক যুবতীদের মিথ্যে প্রত্যাশার বুলি শোনাচ্ছেন।
শালগ্রাম নিম্নসমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কতৃপক্ষ ও প্রধান শিক্ষক মোশারফ হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি জানান আমরা স্কুলটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে অনেক চড়াই উতরাই পার করে অবশেষে মোস্তাফিজার এমপির বদৌলতে ২০১৯সালে এমপিও ভুক্ত হয়েছি।এখনও কোন শিক্ষক সরকারি বেতন পায়নি।সবে মাত্র পুরাতন শিক্ষকদের বেতনের তালিকা পাঠিয়েছি।যেহেতু পুরাতন শিক্ষক ও স্টাফদেরই বেতন দিতে হিমসিম খাচ্ছি সেখানে নতুন কাউকে নিয়োগ দিবো কি করে?কারন নিয়োগ সম্পন্ন হলেতো স্টাফদের বেতন দিতে হবে?তাই অপেক্ষা করছি আমাদের সরকারি বেতন চালু হলেই নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করবো।যদি বেতনের নিশ্চয়তা নাই থাকে তবে তিন তিনবার ১হাজার টাকার ব্যাংক ড্রাফট চেয়ে কেন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে চাকুরী প্রত্যাশীদের কাছ থেকে আবেদন সংগ্রহ করলেন এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া ব্যতিরেকেই কেমন করে কম্পিউটার শিক্ষক নিয়োগ দিলেন জিজ্ঞেস করলে তিনি প্রতিনিধিকে জানান প্রথম আমরা যখন চারটি পদের অনুকুলে যেমন অফিস সহকারী,আয়া,ডে নিরাপত্তা এবং নৈশ প্রহরী পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেই তখন একটি পদের উল্লেখ ভুল থাকায় সঠিক সময়ের মধ্যেই পুনরায় সংশোধনী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেই।কিন্তু দ্বীতীয় নিয়োগ দেয়ার পর একটি নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করার ছয় মাস থাকায় সময় অতিবাহিত হওয়ায় আমরা সেই সময় শেষ হওয়ার আগেই নিয়ম ও বিধি মেনে আবার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেই।যেন সময় অতিবাহিত হবার কারনে নিয়োগটি বাতিল হয়ে না যায়।আর কম্পিউটার শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি আমরা কলেজের ম্যানেজিং কমিটি এবং সকল শিক্ষকদের সাথে আলাপ আলোচনা করে রেজুলেশনের মাধ্যমেই নিয়োগ দিয়েছি।কারন আমাদের স্কুলে শিক্ষার্থীদের কম্পিউটার ক্লাসের জন্য একজন শিক্ষক খুব জরুরী ছিল সেজন্যই এটা করা হয়েছে।তবে প্রধান শিক্ষক বলেন নিয়ম বর্হিভূত বা অনিয়মতান্ত্রিকভাবে কোন কার্যক্রমই আমার দ্বারা হবে না।যা কিছুই করবো সততা এবং নিয়মনীতির মধ্যেই করবো।তবে শালগ্রাম,আটপুকুর এলাকার শিক্ষার্থীর অভিভাবক সাবেক দিনাজপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের ভিপি আশিকুর রহমান বলেন শালগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোশারফ হোসেন এবং স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইউনুছ আলী মাষ্টার যোগ সাজোষ করে কয়েকবার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সেই কার্যক্রম সম্প্ন্ন না করেই টাকার বিনিময়ে গোপনে কম্পিউটার শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে দেয়।যে কিনা হর হামেসাই স্কুলে না এসে নিজের কম্পিউটারের ব্যবসা পরিচালনা করে।অথচ যে সব বেকার যুবক যুবতী একটা চাকুরীর জন্য বেকারত্তের অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে সর্বদা চেষ্টা করে চলছে তাদের ভাগ্যে জুটছে না চাকুরী।কোন কোন ক্ষেত্র নিয়মের বলে লোক দেখানো পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ দিচ্ছে তাদের পছন্দনীয় এবং মোটা অংকের উৎকোচ প্রদানকারী ব্যক্তিদের।ফলে মেধাবীরা হচ্ছে পথভ্রষ্ট। শালগ্রাম স্কুলে নিয়োগের নামে কতৃপক্ষ যে নীল নকসা করে অর্থ হাতানোর চেষ্টা করছে তা কখনোই অত্র এলাকাবাসী ও অসহায় মেধাবী আবেদনকারীরা সফল হতে দেবে না।এবং যথার্থ নিরপেক্ষতা ও যোগ্যতার ভীত্তিতে নিয়োগ সম্পন্ন করতে হবে বলে একাধিক আবেদনকারীর অভিভাবক ও ব্যক্তিবর্গ জানায়।