সেভেন সিস্টার্স নিয়ে কী বলেছেন ড. ইউনূস, ভারতে তোলপাড় কেন? বাঘায় বিএনপি নেতার নেতৃত্বে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের বাড়িঘর-দোকানপাটে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ফারুক ফাউন্ডেশনের ফুটবল ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত লালপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় ৪২ জনের বিরুদ্ধে মামলা, আটক ৭ এপ্রিলে ৪০ ডিগ্রি ছাড়াতে পারে তাপমাত্রা, ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা সুন্দরগঞ্জে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু। পীরগাছায় তাম্বুলপুর কেন্দ্রীয় ঈদগা মাঠে নামাজ আদায় করেন এমদাদুল হক ভরসা আনন্দ বাজারে ফারুকের দোকানে আগুন কুলিয়ারচর ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যাক্তি নিহত গোয়ালন্দ ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশন এর উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান। ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল কক্সবাজার থেকে হেঁটে এভারেস্ট জয় করতে যাচ্ছেন ইকরামুল রামু গুলিতে যুবক নিহত অভিযুক্ত চাচাতো ভাই পলাতক রাজবাড়ীতে প্রবাসীর স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা ঝিনাইগাতীর ডেফলাই গ্রামে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সাইমুন আর নেই চুরির পর মালিককে চোরের ফোন :ক্যাশে এত কম টাকা রাখছেন কেন? ঈদগাহে মাইক বাজানো নিয়ে ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২০ বাঘায় বিএনপি নেতার নেতৃত্বে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ও দোকানপাটে ব্যাপক হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট কুলিয়ারচরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই জন নিহত

বিজয় ও গৌরবের মাস ডিসেম্বরের শুরু

বিজয়ের ও গৌরবের মাস ডিসেস্বর শুরু হলো। স্বাধীনতার জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম এবং ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে এই মাসের ১৬ তারিখে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। এই বিজয়ের মাধ্যমে বাঙালি জাতির জীবনে রচিত হয় সবচেয়ে বড় গৌরবের অধ্যায়। গৌরবের এই বিজয়ের ৫৪ বছর ইতোমধ্যে পার হয়েছে। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা হয়। বাঙালি জাতি হাজার বছরের শৃঙ্খল থেকে মুক্তির লক্ষ্যে দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে আসে।


আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ব্রিটিশ শাসন, শোষণ ও নির্যাতন থেকে মুক্তির পর পাকিস্তানের ঔপনিবেশিক শাসন, শোষণ, নির্যাতনের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা আন্দোলনই এক পর্যায়ে স্বাধীনতা সংগ্রামে রূপ নেয়। স্বাধীনতার জন্য ধারাবাহিকভাবে চলে আসা এই আন্দোলন-সংগ্রাম ১৯৭১ এর মার্চে এসে স্ফুলিঙ্গে রূপ নেয়। স্বাধীনতার আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে ভেতরে ভেতরে প্রস্তুতি নিতে থাকে পাকিস্তানি জান্তারা। ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী বর্বরোচিতভাবে বাংলাদেশের নিরীহ মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এর পরই ২৬ মার্চে স্বাধীনতার ঘোষণা হয়। শুরু হয় পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর বর্বরতায় বাঙালি নিধন অভিযান।


তবে পাকিস্তানের এই বর্বরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় বাংলার সর্বস্তরের মানুষ। হাতে তুলে নেয় অস্ত্র, শুরু হয় রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ। দীর্ঘ ৯ মাস পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে চলে বাঙালির মরণপণ যুদ্ধ। বীরত্বপূর্ণ মুক্তিযুদ্ধের এক পর্যায়ে বাঙালি বিজয়ের দিকে ধাবিত হতে থাকে। ডিসেম্বর মাসে মুক্তিযুদ্ধ চুড়ান্ত বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছায়। এক পর্যায়ে বাঙালির বীরত্বের কাছে পরাজয় স্বীকার করতে বাধ্য হয় আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী। বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক জনমত জোরালো হয়ে ওঠে।


মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ মরণপণ যুদ্ধের কাছে টিকতে না পেরে এবং বিশ্ব জনমতের চাপে পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসর্পণ করতে বাধ্য হয়। এই প্রেক্ষাপটে মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করে বাংলাদেশ। ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান আনুষ্ঠানিক ভাবে আত্মসমর্পণ করে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তৎকালীন রেসকোর্স) পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করে। রক্তক্ষয়ী এই মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ এবং দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়।

Tag
আরও খবর