সাতক্ষীরা কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়ীয়া ইউনিয়নে হা-ডু-ডু খেলা বন্ধ করতে যেয়ে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন। সোনাবাড়ীয়া গ্রামের মৃত্যু আলাউদ্দিন মাস্টারের পুত্র শরিফুজ্জামান উজ্জ্বল ঘটনা টি ঘটেছে সোমবার( ৮ ই নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬ টার সময় । সোনাবাড়ীয়া গ্রামের ১৮ বছরের বয়সি ছেলেরা খেলাটি আয়োজন করে, প্রধান অতিথি হিসেবে সোনাবাড়ীয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেনজির হোসেনকে দাওয়াত করায় আয়োজক কমিটির সদস্যদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে স্টেজ সহ লাইট ভাঙচুর করে কলারোয়া উপজেলা এলজিডি অফিসের কম্পিউটার অপারেটর শরিফুজ্জান উজ্জ্বল এ সময় স্থানীয় দর্শকরা গণধোলাই দেয় তাকে। এ বিষয়ে সরেজমিনে গিয়ে শরিফুজ্জামানে আপন চাচা আক্তার হোসেন কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি জানান চেয়ারম্যান বেনজির হোসেন যদি না থাকতেন তাহলে আমার ভাইপোর আর জীবিত ফিরে পেতাম না,তিনি আরোও জানান উজ্জ্বল কারও সাথে কথা না বলেই খেলা মাঠেই ভাংচুর শুরু করে। সাথে সাথে সাধারণ মানুষ উজ্জ্বলের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে গণধোলাই দেয়। স্থানীয় দোকানদার রমেছা খাতুন জানান যে আমি দোকানে ছিলাম তখন চেচামেচি শুনতে পাই এগিয়ে দেখি চেয়ারম্যান উজ্জ্বল ভাই বলে ডাকতেছে তখন উজ্জ্বলের সামনে থাকা একটি চেয়ার ছুড়ে মারে চেয়ারম্যানের ও ভাংচুর শুরু করে স্থানীয় দর্শকেরা তাকে ধাক্কা দেয় এ সময় শরিফুজ্জামান উজ্জ্বল পালানোর চেষ্টা করলে জনতা তাকে মারতে থাকে পরে চেয়ারম্যান ও আক্তার তাকে উদ্ধার করে।এ বিষয়ে সোনাবাড়ীয়া ইউনিয়নের দফাদার জানান শরিফুজ্জামান গালিগালাজ করতে করতে স্টেজের দিকে আসে এবং ভাঙচুর শুরু করে তখন আমরা তাকে থামানোর চেষ্টা করি পরে আমাদেরও গায়ে হাত দেয় সে এ সময় দর্শকরা তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে যায় গণপিটুনির শিকার হয় উজ্জ্বল। উদ্ধার করে কলারোয়া থানা পুলিশকে জানায় পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে যায়। সোনাবাড়ীয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেনজির হোসেন হেলাল জানান হা-ডু-ডু খেলা কে কেন্দ্র করে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় জনগণের হাত থেকে উদ্ধার করে পুলিশকে খবর দেয় পরে পুলিশ তাকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেছে বলে শুনেছি, তিনি আরোও জানান শরিফুজ্জান উজ্জ্বল একজন প্রতারক সে সরকারি চাকুরী করে দিনে, রাতে রাজনৈতি করেন আর একাধিক প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও সোনাবাড়ীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সদস্য সরকারি নিয়মে এটা করা যায় কিনা জানিনা বিষয় টি দেখার জন্য প্রশাসনে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ভুক্তভোগী শরিফুজ্জামান উজ্জ্বল জানান আমার জমিতে হাডুডু খেলা আর আমাকে বাদ দিয়ে চেয়ারম্যান এর প্রধান অতিথি করেছে আমি জানিনা তাই খেলা বন্ধ করতে গিয়েছি চেয়ারম্যান বেনজির হোসেনের লোকজন আমাকে মেরেছে আমি এর বিচার চাই। আয়োজক কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, আমরা উজ্জ্বল ভাইয়ের নিকট হতে অনুমতি নিয়ে খেলার আয়োজন করি তিনি চেয়ারম্যানকে দাওয়াত করায় ক্ষিপ্ত হয়ে ভাংচুর শুরু করে আর এতেই সাধারণ মানুষের ক্ষিপ্ত হয়ে গণধোলাই দেয়। এ বিষয়ে কলারোয়া থানায় দুটি আলাদা আলাদা অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে থানা সূত্রে জানা যায়।
৩৫ দিন ৮ ঘন্টা ২৯ মিনিট আগে
১১০ দিন ২২ ঘন্টা ৪৭ মিনিট আগে
৬৫১ দিন ২ ঘন্টা ৪৯ মিনিট আগে
৬৯৮ দিন ১৪ ঘন্টা ৪২ মিনিট আগে
৮১৪ দিন ১৭ ঘন্টা ৫২ মিনিট আগে
৮৭৫ দিন ১৬ ঘন্টা ২৪ মিনিট আগে
৮৯৩ দিন ২৩ ঘন্টা ২২ মিনিট আগে
৯২৭ দিন ১২ ঘন্টা ৩৩ মিনিট আগে