ঝিনাইদহে এক শিক্ষক মাদ্রাসার ছাত্রীকে নিয়ে উধাও
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ১৭ নম্বর নলডাঙ্গা ইউনিয়নের শামসুল আলম খান দাখিল মাদ্রাসায় একের পর এক অঘটন ঘটেই চলেছে।
সম্প্রতিকালে নলডাঙ্গা শামসুল আলম খান দাখিল মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক আব্দুল হামিদ নামের একজন ৯ম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করে তাকে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পলাতক ঐ শিক্ষক আব্দুল হামিদের বাড়ি কালিগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর ইউনিয়নের বলরামপুর গ্রামে বাড়ি। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তার নিকট আত্মীয়রা। স্থানীয়ভাবে জানা যায়,(২৫ ডিসেম্বর ) গত রাত থেকে তারা নিখোঁজ ছিল। দুই পরিবারের অভিভাবকরা হন্নে হয়ে খুজলেও রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনির ঐ ছাত্রী ও একই মাদ্রাসার শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্কে জড়িত ছিল। গত ৪ মাস আগেও তারা একবার পালিয়ে যায়। স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের সমন্ময়ে টাকা পয়সা দেনদরবার করে বিয়টি মিমাংসা করে। এ নিয়ে এলাকায় দোকান-পাটসহ বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনা গুঞ্জন চলছে। মাদ্রাসা শিক্ষকেরা যদি এরকম হয় তাহলে ছাত্রীরা সেখানে কিভাবে লেখাপড়া করবে। যেখানে শিিক্ষকদের নৈতিক চরিত্র ভালো না সেখানে ছাত্রীদের নিরাপত্তা কোথায়। মাস খাানেক আগে এই মাদ্রাসাার সুপার ইকবাল আনোয়ারের বিরুদ্ধে মাদ্রাসায় কর্মরত চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দেয়ার অভিযোগ উঠেছিল। তাছাড়া উক্ত মাদ্রাসার সুপার যখন কালিগঞ্জ উপজেলার দুলালমুন্দিয়া গাজেম আলী দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন তখন তার বিরুদ্ধে সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে শ্রেণিকক্ষে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগে করেছিল । অনৈতিক কার্যকলাপের শিক্ষক যদি হয় ভক্ষক তাহলে ছাত্রীদের নিরাপত্তা কোথায়।