তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার দেওয়া ২৫৫ রানের বিপরীতে ব্যাট করতে নেমে ২৩ রানেই ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে ১২২ রানের ইনিংস খেলে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেয় নাজমুল হোসেন শান্ত। টাইগার অধিনায়ক ছাড়াও মুশফিকুর রহিম ৭৩ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ করেন ৩৭ রান।
১৩ মার্চ, বুধবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মুশফিক-রিয়াদের সঙ্গ নিয়ে দলের শুরুর বিপর্যয় সামলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরির দেখা পান শান্ত। আর তাতেই ৩২ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
২৫৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই দলকে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দেন লিটন দাস। দিলশান মাদুশঙ্কার প্রথম বলটি একটু খাটো লেংথে পড়ে ভেতরে ঢুকেছিল। জায়গার অভাব দেখেও হাল ছাড়েননি লিটন। শট খেলতে গিয়ে বল টেনে আনেন স্টাম্পে, বোল্ড!
প্রথম বলেই উইকেট হারানোর পর লিটনের পথেই হাঁটেন আরও দুই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার ও তাওহীদ হৃদয়। নিজেদের নামের পাশে তিনটি করে রান যোগ করে ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের ভেতরেই ফিরে যান দুইজন। দলীয় ২৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে বাংলাদেশ।
অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে থেকে বাকিদের আসা-যাওয়া দেখছিলেন। চতুর্থ উইকেট জুটিতে সঙ্গী হিসেবে পান অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে।
দলের শুরুর বিপর্যয় দারুণভাবে সামাল দেন শান্ত-রিয়াদ জুটি। পাওয়ার প্লেতেই লঙ্কান বোলার উপর চড়াও হন অভিজ্ঞ রিয়াদ। ৫.১ ওভারে ২৩ রানে ৩ উইকেট চলে যাওয়ার পর ক্রিজে নেমেই আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন সাইলেন্ট কিলার। পাওয়ার প্লের দশ ওভারে শেষ স্কোরবোর্ডে আর কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৫ রান। অভিজ্ঞ রিয়াদ পাওয়ার প্লে শেষে ক্রিজে ছিলেন ১৯ বলে ২২ রান করে।
রিয়াদের দেখানো পথে ধীরে ধীরে রানের গতি বাড়াতে থাকেন অধিনায়ক শান্তও। দুজনে মিলে ১৩তম ওভারেই অর্ধশত রানের জুটি গড়েন। রানের চাকা সচল রেখে লঙ্কান বোলারদের আগ্রাসী মেজাজে খেলতে থাকেন দুই ব্যাটসম্যান।
তবে ইনিংসের ১৬তম ওভারে লাহিরু কুমারার বলে ক্যাচ দিয়ে বসেন রিয়াদ( ৩৭ বলে ৩৭ রান)। এরপর পঞ্চম উইকেট জুটিতে মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে দলের হাল ধরেন শান্ত।
অভিজ্ঞ মুশফিকের সঙ্গ পেয়েই যেন নির্ভার হয়ে খেলতে থাকেন টাইগার অধিনায়ক। ২২তম ওভারেই নিজের ফিফটি তুলে নেন শান্ত। আগ্রাসী মেজাজে শান্ত-মুশফিক জুটি খেলে ইনিংসের ২৬তম ওভারেই দলীয় ১৫০ রান পূরণ করেন। এই জুটির কাছে অসহায় হয়ে পড়েন লঙ্কান বোলাররা।
দারুণ ছন্দে থাকা দুই ব্যাটসম্যান ৩৫তম ওভারে শতরানের জুটি পূরণ করেন। সেই সঙ্গে ফিফটিও তুলে নেন মুশফিক। এরপর অধিনায়ক হিসেবে নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম শতক তুলে নিতেও বেশি দেরি করেননি শান্ত। ৩৮তম ওভারেই পেয়ে যান ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতক।
লঙ্কান বোলাররা আর কোন প্রতিরোধ গড়তে না পারলে ৪৫ তম ওভারেই ৩২ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের বড় জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ১২২ রান করেন শান্ত। মুশফিক করেন ৭৩।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে দারুণ সূচনা পেলেও সফরকারীদের চেপে ধরেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব। পাওয়ার প্লের শেষ দিকে বল করতে এসে সফরকারী তিন টপ অর্ডারদের ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান সাকিব। এই ডানহাতি পেসারের দেখানো পথে হাঁটেন বাকি দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও শরীফুল ইসলাম।
শেষদিকে তাসকিন-শরীফুলের গতিতে মাত্র ২৫৫ রানেই গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। টাইগার তিন পেসার মিলে নেন তিনটি করে নয় উইকেট। দলের বিপর্যয়ে দুর্দান্ত এক শতক হাঁকিয়ে ম্যাচ সেরা হন নাজমুল হোসেন শান্ত।
৮ দিন ৪ ঘন্টা ৩২ মিনিট আগে
৯ দিন ৫ ঘন্টা ২১ মিনিট আগে
১৩ দিন ২ ঘন্টা ১ মিনিট আগে
১৪ দিন ২ ঘন্টা ১৪ মিনিট আগে
১৪ দিন ২ ঘন্টা ২১ মিনিট আগে
১৮ দিন ৬ ঘন্টা ২৮ মিনিট আগে
২৫ দিন ১৮ ঘন্টা ৩৮ মিনিট আগে
২৮ দিন ৬ ঘন্টা ৭ মিনিট আগে