মুক্তিযোদ্ধা গেজেট থেকে কুড়িগ্রাম ৩ আসনের সংসদ সদস্য এমএ মতিন ও দেলোয়ার হোসেনের নাম বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ না করেও গেজেটভুক্ত হওয়ায় শুক্রবার দুপুরে উলিপুর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন করেন ।
পরে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উলিপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডিপুটি কমান্ডার ও উলিুপর উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন মন্টু।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য এম এ মতিনসহ উলিপুর উপজেলার দেলোয়ার হোসেন মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ না করলেও তাদের নাম গেজেটে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এটা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য লজ্জার বিষয়। সংসদ সদস্য এমএ মতিনের বড় ভাই এমএ করিম মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে রাজাকার কমান্ডার ছিলেন। তার নাম মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে রাজাকারের তালিকায় রয়েছে। সংসদ সদস্য এম এ মতিন সেই রাজাকার পরিবারের সদস্য ও ১৯৭৯ সালে গঠিত ৭ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির ৭ নং সদস্য ছিলেন। এছাড়াও ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে সংসদ সদস্য এমএ মতিনের নামে এম এ মতিন কারিগরি ও কৃষি কলেজের এমপিও ভুক্তির জন্য তৎকালীন বিএনপি মহাসচিব মান্নান ভূঁইয়ার ডিও লেটার ব্যবহার করেন তিনি। ডিও লেটারে মান্নান ভূঁইয়া এম এ মতিনকে বিএনপি পরিবারের সদস্য হিসেবে খালেদা জিয়ার নিকট সুপারিশ করেন। সংসদ সদস্য এম এ মতিন ও দেলোয়ার হোসেন দুবার উলিপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটিতে আবেদন করেও নিজেদেরকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রমাণ করতে পারেননি। এক মাসে আগে বের হওয়া তালিকায় তাদের দু’জনের নাম গেজেটভুক্ত হয়। অনতিবিলম্বে গেজেট থেকে দুজনের নাম প্রত্যাহারের জন্য মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়সহ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: শাহাজাহান আলী, আব্দুল খালেক সরকার, আব্দুল জলিল সরকার, আব্দুল মজিদ সরকার,শমসের আলী সহ উপজেলার অর্ধ শতাধীক বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ।
১০ ঘন্টা ৩০ মিনিট আগে
১০ ঘন্টা ৩১ মিনিট আগে
১০ ঘন্টা ৩২ মিনিট আগে
১০ ঘন্টা ৩৪ মিনিট আগে
১১ ঘন্টা ৪৪ মিনিট আগে
১৩ ঘন্টা ৩ মিনিট আগে
১৩ ঘন্টা ৪৪ মিনিট আগে
১৬ ঘন্টা ২৫ মিনিট আগে