মাদরাসার জমির নির্মাণ কাজে বাধা কর্তৃপক্ষের সংবাদ সম্মেলন সহ-সমন্বয়কের প্রশ্রয়ে হলে অবৈধ ভাবে থাকতেন সেই সাংবাদিক শ্রীমঙ্গলে হুগলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সম্পন্ন এবারের বাজেট হবে বাস্তবসস্মত এবং ব্যবসাবান্ধব' ইবিতে ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টতায় সাংবাদিক সংগঠন থেকে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী মারধরের শিকার লালপুরে সংবাদ প্রকাশের পর সেচ প্রকল্পে নিম্নমানের স্থাপনা ভাঙলো বিএডিসি সুবিপ্রবিতে প্রথমবারের মতো 'যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ শিক্ষা বিষয়ক' সেমিনার অনুষ্ঠিত তারেক রহমানের ৩১ দফা নিয়ে রাজশাহী কলেজ ছাত্রদলের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত এসএসসি শিক্ষার্থীদের মাঝে খাবার ও পানি বিতরণ কড়িহাটি এক্স স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন সার্চ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরাও সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে বিশ লক্ষ টাকার স্বর্ণ আটক ইসকন নেতা চিন্ময় দাসের জামিন বিমান বাহিনীকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় আটক ১ ঝিনাইগাতীতে অবৈধ বালু পরিবহনের দায়ে ট্রাক ড্রাইভারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আমার দেশ সম্পাদকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে শ্রীমঙ্গলে মানববন্ধন মাতুয়াইলে বাসচাপায় তা’মীরুল মিল্লাতের দুই ছাত্রী নিহত: বিক্ষোভে উত্তাল মহাসড়ক শেয়ালের জন্য পাতানো ফাঁদে মারা পড়লেন আব্দুল হাকিম ঝিনাইগাতীর মরিয়মনগরে সড়ক দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিথ্যা মামলা ও হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

অবসরকালীন টাকা পেতে ভোগান্তির অভিযোগ

শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিটিআরআই  উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শাহ আলম।


মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের বিটিআরআই  উচ্চ বিদ্যালয়ে দীর্ঘ ৩৮ বছর শিক্ষকতা করেছেন মো. শাহ আলম। চলতি বছরের মে মাসে বিদ্যালয় থেকে অবসর নিয়েছেন তিনি। কিন্তু অবসরকালীন টাকা পেতে চরম ভোগান্তি আর হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে তাকে। শিক্ষার আলো ছড়িয়ে জীবনের বড় একটা সময় পার করা সেই শিক্ষক এসব বিষয়কে সামনে নিয়েই গণমাধ্যমকর্মীদের শরণাপন্ন হয়েছেন।


রোববার (২ অক্টোবর) দুপুরে শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন সিনিয়র শিক্ষক শাহ আলম বলেন, বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর চাকুরি পরবর্তী অবসরকালীন পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে নানাভাবে বিড়ম্বনা ও সম্মানহানিকর পরিস্থিতির মুখোখুখি হতে হচ্ছে আমাকে।


আমি ০১/০৩/১৯৮৫ সাল থেকে ০৫/০৪/২০২২ ইং দীর্ঘ ৩৮ বছর অত্যন্ত এক নিষ্ঠার সাথে শিক্ষকতা করে অবসর গ্রহন করি। অবসর শেষে আমার গ্রাচুয়িটি, প্রভিডেন্ট ফান্ড এর জন্য বিধিমোতাবেক পরিচালক (স্কুল সভাপতি) আবেদন করি। আবেদনের প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ বিধি মোতাবেক প্রকৃত পাওনা না দিয়ে নিজেদের ইচ্ছা মতো সামান্য অর্থ (৪ লক্ষ) টাকার চেক এর প্রাপ্তিস্বীকারপত্রে সই করতে বলেন। এই টাকা গ্রহণে আমি অপারগতা প্রকাশ করি। এরই প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ আমাকে পূর্বের দেয়া নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাসা ছাড়ার নির্দেশ দেন। 


তিনি আরো উল্লেখ করেন, পরিচালক আমার বিষয়টি বিবেচনায় না নিয়ে চা বোর্ডে সচিব বরাবর ফোনে কথা বলে জানান যে, আবেদনকারী শিক্ষক টাকা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। তখন সচিব মহোদয় পরিচালককে বিদ্যুৎ, গ্যাস লাইন, পানির লাইন বিচ্ছিন্ন করে ওই শিক্ষককে বাসা থেকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। এই অবস্থায়, একজন শিক্ষকের দীর্ঘচাকুরী জীবনের প্রাপ্তিটুকু পাওনা না পেয়ে ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের এমন অপ্রত্যাশিত অসৌজন্য আচরণে গভীরভাবে বেদনাহত হলাম। যা জীবনের কখনো কল্পনাও করতে পারিনি। 


সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, এখানে আরও উল্লেখ্য যে, আমি গত ১৪/০৯/২০২২ ইং তারিখে বাণিজ্য মন্ত্রনালয় সিনিয়র সচিব বরাবর আমার পাওনাদির জন্য আবেদন করি। যেহেতু বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের অধীনে চা বোর্ড পরিচালিত হয় এবং চা বোর্ডের অধীনে বিটিআরআই এবং বিটিআরআই স্কুল পরিচালিত হয়। আমার আবেদন টি বোর্ডে সচিব মহোদয় সাদরে গ্রহন করেন এবং চা বোর্ডের কর্তৃপক্ষকে বিধিমোতাবেক পাওনা পরিশোধের জন্য (চেয়ারম্যানকে) নির্দেশ প্রদান করে। এটা বলার পরেও সংশ্লিষ্ট সচিব মহোদয় এ ব্যাপারে কোনো প্রকার ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো আমাকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ভয়ভীতি প্রদানসহ অশালীন আচরণ করে চলেছেন। যা আমার জীবদ্দশায় অত্যন্ত সম্মানহানিকর বলে মনে করি। এটা শোনার পরেও পরিচালক কোনো মন্তব্য করেননি।




সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে শাহ আলম বলেন, আমি যত বছর চাকুর করেছি এতো বছরের দ্বিগুণ এবং শেষ বেসিক দিয়ে গুণ করে গ্রেচুইটি দেয়া হয়। বিধিমোতাবেক আমার টাইমস্কেলসহ বেসিক দাঁড়াবে ৫২ হাজার টাকা পূরণ ৭৬ মাস এর মোট টাকার পরিমাণ হয় প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা। আমি এই টাকাটাই দাবি করছি। 


অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইতোপূর্বে বিধিমোতাবেক টাকা পেয়েছেন তারা হলেন ১ম জন প্রধান শিক্ষক মরহুম শামসুল ইসলাম, ২য় জন সহকারি প্রধান শিক্ষক হরিপদ সরকার, ৩য় জন সহকারি প্রধান শিক্ষক শামসুল হক, ৪র্থ জন প্রাক্তন সিনিয়র শিক্ষক জগদীশ গোস্বামী, ৫ম জন দীজেন্দ্র লাল সিংহ, ৬ষ্ঠজন গৌরীবালা গোপ এবং ৭ম জন তাসলিমা আক্তার। এরা যদি বিধিমোতাবেক তাদের ন্যায্য পাওয়া পেতে পারেন তবে আমি কেন পাবো না। 

ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়ার নির্দেশের ব্যাপারে তিনি সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত ২৯ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় বিটিআরআই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার রুমে বিটিআরআই পরিচালক ড. ইসমাইল হোসেন, এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আফরোজা বেগম, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, স্টোরকিপার মুকুল রায়, বিদ্যালয়ের হিসাবরক্ষক হাবিব বাহার চৌধুরী এবং অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকা বিটিআরআই এর হিসাবরক্ষক সাইফুল কাদের এরা উপস্থিত ছিলেন। এদের সামনে চা বোর্ডের সচিব রুহুল আমিন মোবাইল ফোনে বিটিআরআই পরিচালকের সাথে কথোপকথনের এক পর্যায়ে নির্দেশ দেন আমার বাসার বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে আমাকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দিতে।

আরও খবর