দিনাজপুর বীরগঞ্জ উপজেলায় নিখোঁজের একদিন পর পার্শ্ববর্তী ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার হলো নিষ্পাপ শিশু আদিল আহনাফ(৮)এর মৃতদেহ।
মৃত আদিল আহনাফ বগুড়া জেলার সদর দক্ষিন পাড়া এলাকার কামরুজ্জামানের ছেলে।
মৃত আদিল আহনাফের বাবা কামরুজ্জামান ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে মুঠো ফোনে কথা বলে জানা যায় আজ থেকে পাচঁদিন পূর্বে তার অসুস্থ বড় আম্মাকে দেখতে পরিবারের সাথে মৃত আদিল আহনাফ নানী বাড়ী দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের দক্ষিন পলাশ বাড়ী মন্ডল পাড়ায় বেড়াতে আসে।গত ২১অক্টোবর আদিল আহনাফের বড় আম্মা মাড়া গেলে সে তার বাবার সাথে দাফন কার্যে শরীক হওয়ার পর তার বাবা তার ব্যবহৃত একটি স্যামসাং স্মার্ট ফোনটি হাতে দিয়ে বাসায় যেতে বলে।তার বাবা বাসায় আসার পর আদিল আহনাফ বাসায় ফিরে না আসায় বিকাল আনুমানিক ৪টার দিকে কল দিলে আদিল আহনাফ ফোন রিসিভ করে বলে আব্বু আমি আসতেছি।এটাই আদিল আহনাফের সাথে বাবার শেষ কথা।তারপরেও দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলে পুনরায় মোবাইলে কল দিলে আর মোবাইলে সংযোগ পায়নি।এরপর অনেক খোজাখুজির পর তাকে না পেয়ে তার বাবা বীরগঞ্জ থানায় একটি হারানো জিডি করে এবং ফুফাতো ভাই ফরহাদ হোসেন নামক ফেসবুক স্ট্যাটাসে আদিল আহনাফের খোঁজ পেতে ছবি ও মোবাইল নাম্বার দিয়ে সন্ধানের চেষ্টা করে।রাত পেরিয়ে সকাল হলেও আশে পাশের সব গ্রামে খুজেও পাওয়া যায়না আদিল আহনাফকে।পরিশেষে ২২অক্টোবর শনিবার বিভিন্ন ধানক্ষেতে খোঁজাখুজির পর তার বাসা হতে প্রায় ১শ মিটার দুরের একটি ধানক্ষেতে একটি শিশুর লাস দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী পরিবারকে খবর দিলে পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী আদিলের মৃতদেহ উদ্ধার করে বীরগঞ্জ থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ আলামত সংগ্রহ করে।তবে পরিবারের ধারনা একটি স্মাট মোবাইল ফোনের জন্যই দুষ্কৃতিকারীরা আদিল আহনাফকে হত্যা করেছে।এ প্রসঙ্গে বীরগঞ্জ থানার অফিসার ইন চার্যের সাথে মুঠো ফোনে কথা বললে তিনি প্রতিনিধিকে জানান মোবাইলের জন্য কিনা সেটা এখনও স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।তবে প্রকৃত কি কারনে শিশু আদিল আহনাফকে হত্যা করা হয়েছে সেটা তদন্ত চলছে,তদন্ত শেষেই বলা যাবে প্রকৃত কারন।আমাদের পুলিশি অভিযান ও তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।তবে বগুড়া থেকে অসুস্থ বড় আম্মা দেখতে বীরগঞ্জে এসে তার তার বড় আম্মার সাথে তাকেও এভাবে চলে যেতে হবে এবং তার বাবা মাকে সন্তান নিয়ে এসে আজীবনের জন্য সন্তান ছারাই বাড়ি বগুড়া ফিরতে হবে এই শোকে বিহবল হয়ে পরছে মৃত আদিল আহনাফের বাবা ও মা।সেই সাথে যারা তাদের নিষ্পাপ সন্তানকে এভাবে হত্যা করেছে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানান।