১০ টাকায় টিকিট কেটে চোখের চিকিৎসা নিলেন প্রধানমন্ত্রী মেহনতি মানুষের ভাগ্যোন্নয়নই আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য: ওবায়দুল কাদের ডিমের দাম হঠাৎ কমে যত হলো ইসলামপুরে ৭ জুয়াড়িকে আদালতে সোপর্দ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীন হলে থাকা নিয়ে ভর্তি পরীক্ষার্থীকে হয়রানির অভিযোগ শাবির হল প্রভোস্টের বিরুদ্ধে মধুপুরে কুড়ালিয়া ইউনিয়নের বানিয়াবাড়ি পুকুর পাড়, ঈদগাহ মাঠে স্থাপিত মদিনাতুল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় জিপিএ ফাইভ এবং বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আজ জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ জাতিসংঘে বাংলাদেশ উত্থাপিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাব গৃহীত আজ যে ৬ অঞ্চলে ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস কুতুব‌দিয়ায় সাংবা‌দিক‌দের সা‌থে চেয়ারম্যান প্রার্থী ব্যারিস্টার হানিফের মতবিনিময় হবিগঞ্জ ইয়ুথ পিস এম্বাসেডর গ্রুপ গঠন বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত। লাখাইয়ে উপজেলা নির্বাচনে ১৫ প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র দাখিল। গাজা ইস্যুতে ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করল তুরস্ক উজানের ঢলে সিলেটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, বন্যার শঙ্কা উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করার নির্দেশ কুতুবদিয়া উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি রাসেল সিকদারের নেতৃত্বে মে দিবস উদযাপন বাংলাদেশের জনগণ এখন মর্যাদা নিয়ে বিশ্ব দরবারে চলতে পারে: প্রধানমন্ত্রী গোদাগাড়ীতে কাভার ভ্যানের ধাক্কায় সাইকেল আরোহী নিহত আরও ২ দিন বাড়লো ‘‌হিট অ্যালার্ট’

মা-বাবার বিশ্বাস

একটি ছেলে ছিল, মা-বাবা ভালোবেসে তার নাম রেখেছিল অনু। প্রতি বছর গরমের ছুটিতে তার মা-বাবা তাকে তার দাদুর বাড়ি বেড়াতে নিয়ে যেতেন। দাদু থাকতেন দেশের বাড়ি; অনেকটা দূর, তাই ট্রেনে করে যেতে হত।
এক বছর গরমের ছুটিতে বেড়ানোর তোড়জোড় চলছে; অনু বলল, বাবা, আমি তো এখন যথেষ্ট বড় হয়েছি, আর তোমাদের যাবার দরকার নেই। আমি একাই যেতে পারব। বেশ খানিকক্ষণ আলোচনার পর ঠিক হল, এবার অনু একাই যাবে, তার বাবাকে আর অফিস কামাই করে তাকে পৌঁছে দিতে হবে না।
অনুকে জানলার ধারের সিটে বসিয়ে বাবা প্ল্যাটফর্মে নেমে এলেন। অনু বলল, তোমরা চিন্তা কোরো না, আমি ঠিক পৌঁছে যাব।
ট্রেন যখন ছাড়ব-ছাড়ব করছে, অনুর বাবা তার জামার পকেটে একটা কিছু গুঁজে দিলেন। দিয়ে বললেন, যদি রাস্তায় ভয় পাস বাবা, এই জিনিসটা বার করে দেখিস।
ট্রেন ছেড়ে দিল, অনুর জীবনে এই প্রথমবার যে সে একেবারে একা। সঙ্গে মা-বাবা নেই, দরকার পড়লেও তাদের সাহায্য এখন পাওয়া যাবে না। অস্বস্তি কাটাবার জন্য জানলার বাইরে মন দিল সে। পৃথিবীর নানা রঙের টুকরো টুকরো ছবি সেখানে ছিটকে ছিটকে পেরিয়ে যাচ্ছে। কখনও দেখা গেল একলা কৃষক আনমনে পথ হেঁটে চলেছে তার হাল আর বলদ নিয়ে, কখনও দেখা গেল আকাশের বুকে আলপনা এঁকে উড়ে চলেছে একসারি বলাকা, আবার কখনও বা সূর্যকে আড়াল করা মেঘের ফাঁক-ফোকর দিয়ে ঠিকরে বেরোচ্ছে একফালি রোদ।

এইভাবে অপরাহ্ন পেরিয়ে সন্ধ্যা নেমে এল। ট্রেনের ভেতর লোকজনের হট্টগোল, হকারদের যাওয়া-আসা, চিৎকার-চেঁচামেচি ক্রমশ স্তিমিত হতে লাগল। অনুর জানলার আকাশে এখন চাপ চাপ অন্ধকার শুধু। সেই মুহূর্তে নিজেকে খুব একা মনে হতে লাগল অনুর। ভাবল, এইভাবে জিদ করে একা না এলেই বোধহয় ভালো হত। মুখ ঘুরিয়ে সবাইকে দেখতে লাগল সে। সবাই কেমন যেন চুপচাপ, উল্টোদিকের যে লোকটা মাঝেমাঝেই তার দিকে তাকাচ্ছে, তার মুখে যেন একরাশ শূন্যতা! ওদিকে কয়েকটা ষন্ডামার্কা লোকজন, কী তাদের মতলব ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। এবারে অনু বেশ ভয় পেয়ে গেল, জানলার কোণটায় আরও গুটিয়ে গেল সে। হে আল্লাহ, এ রাত কতক্ষণে শেষ হবে! গলা শুকিয়ে এল তার, হাত-পা কাঁপতে লাগল, চোখের কোণটা জলে ভরে এল, রুমাল বার করে কপালের ঘাম মুছল বারকয়েক।
হটাৎ অনুর মনে পড়ল, বাবা না জানি কি একটা তার পকেটে গুঁজে দিয়েছিলেন শেষমূহূর্তে! কোনোরকমে কাঁপা কাঁপা হাতে পকেট থেকে বার করে নিয়ে এল সেটা। এক টুকরো কাগজ, আর তাতে লেখা, *ভয় পাস না বাবা, আমি তোর পাশের কম্পার্টমেন্টেই আছি।*
আমাদের জীবনের ট্রেনটিও ঠিক এইভাবেই ছুটে চলেছে। যখন আল্লাহ আমাদের এই পৃথিবীতে পাঠান, তিনি আমাদের পকেটে এক টুকরো কাগজ এইভাবেই গুঁজে দিয়েছেন। তাতে লেখা আছে *আমি তোমাদের সঙ্গেই চলেছি, তোমাদের হাতের নাগালের মধ্যেই আছি, শুধু একবার ডাক দিও, দেখবে তোমাদের পাশেই আমি দাঁড়িয়ে আছি।*
তাহলে আর চিন্তা কী! শুধু বিশ্বাস করো, শুধু একবার প্রাণভরে ডাকো, আর দেখবে, তিনি দু-হাত বাড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছেন, তাঁর মুখে একরাশ ভুবন ভোলানো হাসি আর এক জোড়া ক্ষমাসুন্দর চোখ! তাহলে আর কীসের ভয়! কীসের দুশ্চিন্তা! কীসের এত ভাবনা!
Tag
আরও খবর


রাজশাহীতে ফল মার্কেটের দাবি ব্যবসায়ীদের

১৬৬ দিন ১৭ ঘন্টা ৯ মিনিট আগে




মা-বাবার বিশ্বাস

২১১ দিন ১৮ ঘন্টা ২১ মিনিট আগে


জীবনে সময় ফিরে আসে না

২২২ দিন ১৭ ঘন্টা ১৯ মিনিট আগে