গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ‘মডিউল কমিউনিটি হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে’ কতৃর্পক্ষের অবহেলায় গত মঙ্গলবার অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার রায়েদে অবস্থিত ওই হাসপাতালে মৃত্যুর ঘটনায় প্রসূতির পরিবার ও এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃস্টি হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার দূগার্পুর ইউনিয়নের নাজাই গ্রামের আরিফের স্ত্রী সোনিয়া আক্তার (২৫) গত মঙ্গলবার বিকাল পোনে ৩টায় প্রসব বেদনা নিয়ে ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়। কতৃর্পক্ষ প্রসূতির প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরিক্ষা করেন এবং সিজারিয়ান হবে জানিয়ে অপেক্ষা করতে বলেন। দীর্ঘ ৫ ঘন্টার বেশী সময় ধরে অপেক্ষার এক পযার্য়ে অন্য জায়গা থেকে ডাক্তার এসে সিজার করেন। এসময় একটি সুস্থ্য ছেলে বাচ্চা প্রসব করলেও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে প্রসূতির মৃত্যু হয়। এব্যাপারে পারিবারিক পযার্য়ে রফাদফা চলছে বলে জানা যায়।
এ-বিষয়ে কাপাসিয়া পল্লী মডিউল হাসপাতালের পরিচালক আশরাফুল আলম সোহেল জানান, সিজার করার সময় এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। তবে কি কারনে মৃত্যু হয়েছে তা তিনি জানেন না বলে জানান। মডিউল কমিউনিটি হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ম্যানেজার নারায়ন সাহা’র কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি পাশ কাটিয়ে সাংবাদিককে হাসপাতালে যেতে বলেন। প্রয়োজনে হাসপাতালের এমডির সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। এ ব্যাপারে প্রসূতির স্বামী আরিফ জানান, প্রসব বেদনা নিয়ে দীর্ঘ সময় হাসপাতালে অপেক্ষা করলেও তখন কোন ডাক্তার ছিলো না। এক পযার্য়ে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাঃ মাসুম বিল্লাহ্ এসে প্রসূতির সিজার করেন। পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে প্রসূতির মৃত্যু হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতার্ ডাঃ মামুনুর রহমান বলেন, প্রসূতির মৃত্যুর খবরটি তিনি জেনেছেন। সরেজমিনে হাসপাতাল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।