২০২২ সালের বই পড়া কর্মসূচির বার্ষিক মূল্যায়ন পরীক্ষায় উপজেলার ১১ টি ইউনিয়ন থেকে ২৪ হাজার ৫০০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এদের মধ্য থেকে ৫৫০ জন বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। গতকাল শনিবার উপজেলার তরগাঁও ইউনিয়নের লতাপাতা বাজারে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় তাজউদ্দীন আহমদ এবং সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের সভাপতি গাজীপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি ও ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ উপস্থিত ছিলেন। শুভেচ্ছা বক্তব্যে তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ বলেন, বই মানুষের মন কে ঐশ্বর্যবান করে তোলে। বইয়ের ভেতরে ছড়িয়ে আছে জ্ঞান-বিজ্ঞানসহ মানব জীবনের অতীত বর্তমানে নানা ঘটনা। এছাড়াও বই থেকে আমরা জানতে পারি প্রেরণাদায়ক মানুষের জীবনের গল্প। স্বাধীনতা এবং মুক্তির জন্য এই দেশের মানুষের রয়েছে গৌরবময় ইতিহাস। সেই গৌরবময় ইতিহাসের এক অনন্য মানুষ বঙ্গ তাজ তাজউদ্দীন আহমদ। যিনি বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় এক গৌরবজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেন। বইয়ের মাধ্যমে তার জীবন থেকে প্রেরণা নিয়ে নিজেদেরকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তারাই উন্নত বাংলাদেশ গড়তে ভবিষ্যতে আলোক বর্তিকা হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সিমিন হোসেন রিমি বলেন, নিজেদের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে। বই যত বেশি পড়বে তত বেশি চিন্তা করার শক্তি অর্জন হবে। আমাদের ভালো মানুষ তৈরি করতে হবে। আর ভালো মানুষ তৈরি করতে পারে বই। মানুষের জন্য প্রেম থাকা লাগবে। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, পৃথিবীতে অশুভ মানুষের দখল থেকে মুক্ত করার অন্যতম হাতিয়ার হচ্ছে বই। বই মানে আলো। বই পড়লে জ্ঞান অর্জন করা যায়। জ্ঞান অর্জন করতে পারলে সমাজ রাষ্ট্রসহ সব জায়গায় আলোকিত মানুষ হওয়া সম্ভব। বই মানুষের জীবনকে সুন্দর করে। বই মানুষকে আলোকিত করে।
ফাউন্ডেশনের সংগঠক পারভেজ আহমেদ পাপেলের উপস্থাপনায় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম গোলাম মোরশেদ খান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রওশন আরা সরকার, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম, কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এ.এইচ.এম লুৎফুল কবীর প্রমুখ।