জয় এর পালা শুরু। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শহীদ পরিবারের নামে তালিকাভুক্ত, ফুলপর উপজেলার প্রথম নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান " শেখ রাসেল সৃতি শিশু কল্যাণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় " এর জয় শুরু। পিতা মুজিব পরিবারের নামে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামটি কেন এত বড় রাখা হল: তা কোন পাঠক বা কমিটির অনেক লোকই জানেন না। বিদ্যালয়টির নামকরণের পিছনে তিনটি অর্থ নিহিত রয়েছে।
প্রথমতঃ বিদ্যালয়টি শেখ রাসেলের স্মৃতি তে প্রতিষ্ঠিত !
দ্বিতীয়তঃ শেখ রাসেল , যেহেতু শিশু সেহেতু শিশু কল্যাণ শব্দটি সম্পৃক্ত করা হয়েছে।
তৃতীয়তঃ ১৫ আগস্ট এর পূর্বে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা জার্মানির চলে যাওয়ার প্রাক্কালে শিশু রাসেলও জার্মানী যেতে চেয়েছিল কিন্তু প্রিয় হাসু আপার নিজের সন্তান জয় এবং রাসেল দুজনেই পাশাপাশি বয়সের ছিল। দুজনই ছোট ছিল আর দুজন শিশুকে একসাথে লালন-পালন করা কষ্টসাধ্য মনে করে ছোট্ট রাসেলকে বাংলাদেশে রেখে জয়কে সাথে নিয়ে হাসু আপা জার্মানিতে চলে গিয়েছিল। যদি সেই দিন রাসেলকে সাথে নিয়ে হাসু আপা জার্মানির যাইতেন তবে ১৫ ই আগস্ট কাল রাতে হায়েনাদের হাতে শিশু রাসেল এর জীবন বিনষ্ট হতো না। হাসু আপা যেহেতু মহিলা বা বালিকা ছিল সেই হিসেবে শেখ রাসেল যেহেতু ভাই। ভাই হিসেবে বোনের কল্যাণ করার প্রত্যাশয় বালিকা বিদ্যালয়। অর্থাৎ শিশুদের কল্যাণ এবং মহিলা বা বালিকাদের কল্যাণ আছে এই প্রতিষ্ঠানে। সুতরাং তিনটি অর্থ নিয়েই এই বিদ্যালয়ের নামকরণ করা। আর সেজন্যই শেখ রাসেল স্মৃতি শিশু কল্যাণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় নামকরণ করা হয়েছে। ২০১৭ সালে ফুলপুর উপজেলার ৪ নং সিংহেশ্বর ইউনিয়নের পুড়াপুটিয়া (মালিঝিকান্দা) নামক স্থানে প্রথম অধ্যাপক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান হাবিব এর অনুমতি নিয়ে এই প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত করা হয়। অধ্যাপক মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব যিনি ৫২ এর ভাষা সৈনিক মরহুম এম শামসুল হক সাহেবের আজন্ম কাল বিশ্বস্ত সঙ্গী। অধ্যাপক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান হাবিব পরবর্তীতে মরহুম এম শামসুল হক সাহেবের সুযোগ্য উত্তরসূরি এম শরীফ আহমেদ এমপি মহোদয়কে বিদ্যালয়ে মাঠে সরেজমিনে উপস্থিত করে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বরাবরে ডিও পত্র প্রদান করেন যখন তিনি সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। এভাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সহ বিভিন্ন দপ্তরে চারটি ডিও পত্র এম শরীফ আহমেদ মহোদয় প্রদান করেন। বিদ্যালয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয় ব্যানবেইস ও শিক্ষা বোর্ডের অন্তর্ভুক্ত ইতিমধ্যে হয়েছে। সেই সাথে ২০১৮ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চাহিদা মোতাবেক পিতা মুজিব পরিবারের নামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি লিপিবদ্ধ হয়। ২০১৯ সালে ফুলপুর উপজেলার একজন শিক্ষা অফিসার বিদ্যালয়টির প্রতি অবজ্ঞা বা অবহেলার জন্য বিদ্যালয়টি অনেক পিছিয়ে যায়। এখনো যে ফুলপুর উপজেলার শিক্ষা অফিসারগণ বিদ্যালয়টিকে সু-নজরে রেখেছেন তা আমি স্বীকার করতে পারি না। কেন সু-নজরে রাখছেন না তা আমি লিখনিতে প্রকাশ করতে চাই না! তবে শিক্ষা অফিসারগন সু-নজরে রাখুক আর নাই বা রাখুক ! বিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় এর সুনাম ধরে রাখার জন্য যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে চলেছেন। কিছুদিন পূর্বে অর্থাৎ গত বছরে বা সম্ভবত এর আগের বছরে ৭ই মার্চে জাতির পিতার ভাষণ প্রতিযোগিতায় অত্র বিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী ফুলপুর উপজেলায় তৃতীয় স্থান অর্জন করে। অবশ্য আমাদের এই শিক্ষার্থী প্রথম স্থান অর্জন করার মত ভাষণ প্রদান করার পরও প্রতিষ্ঠানের প্রতি বাঁকা চাহনি থাকার ফলে সর্বঘনিষ্ঠ বিচারক তৃতীয় স্থান প্রদান করেন। তবুও একটা স্থান পেয়েছেন বা আমাদের শিক্ষার্থী পেয়েছে তাতেই আমরা ধন্য। অজো পাড়া গায়ের এই প্রতিষ্ঠান ফুলপুর উপজেলায় স্থান পেয়েছে তাতেই কম কি? ২০২৪ সালে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ প্রতিযোগিতায় আমাদের বিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ করে। এবং একজন শিক্ষার্থী স্ব-রচিত বাংলা কবিতা আবৃত্তি এবং দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করে দুটিতেই প্রথম স্থান অর্জন করে। এবং জেলা পর্যায়ের জন্য নির্বাচিত হয়। যদিও অন্য শিক্ষার্থী ইংরেজি রচনায় সেরা এবং নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য হওয়ার পরেও একই প্রতিষ্ঠান হতে দুজন প্রতিযোগীর নাম জেলা পর্যায়ে পাঠানোর নিয়ম নেই বলে তাকে প্রতিযোগিতার তালিকা হতে বাদ দেওয়া হয়েছে। জেলা পর্যায়ে অংশগ্রহণ করে আমাদের বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ফুলপুরের প্রথম সারির প্রতিষ্ঠানের নামের তালিকায় আমাদের বিদ্যালয়ের নামটিও লিপিবদ্ধ করান। অর্থাৎ জেলা পর্যায়ের স্ব-রচিত কবিতায় সেরা হয়ে বিভাগীয় পর্যায়ের প্রতিযোগী হিসেবে নির্বাচিত হয়। বিভাগীয় পর্যায়ে আমাদের শিক্ষার্থী ৪৯ নাম্বার পেয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে এবং প্রথম স্থান অর্জনকারী ৬২ নাম্বার পেয়ে জাতীয় পর্যায়ের জন্য নির্বাচিত হয়। বিভাগীয় পর্যায়ে আমাদের অজ পাড়াগাঁয়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর শিক্ষার্থী দ্বিতীয় হওয়া এটা আমাদের জন্য কম কিছু নয়। জয় শুরু। সেই সাথে ২০২৪ সালে ৮ই মে আমাদের বিদ্যালয় এর জেলা প্রশাসক মনোনীত নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান হাবিব বিপুল ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়া আরও একটি জয়ের সূচনা। আশা করি ৪ নং সিংহেশ্বর ইউনিয়ন তথা পিতা মুজিব পরিবারের এই প্রতিষ্ঠানকে নবনির্বাচিত উপজেলার চেয়ারম্যান মহোদয় সর্বাধিক গুরুত্ব ও বিবেচনায় আগামী ছয় মাসের মধ্যে অবকাঠামোগত উন্নয়ন করে জরাজীর্ণতার হাত থেকে অর্থাৎ জরাজীর্ণতার কবল থেকে এই প্রতিষ্ঠানকে মুক্ত করবেন ইনশাআল্লাহ! মুজিব পরিবারের নামের এই প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে গর্ভের সাথে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারকদের নিকট এই প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় বিষয় উপস্থাপন করে খুব শীঘ্রই শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ভাতার সুব্যবস্থা করবেন ইনশাআল্লাহ। সেই সাথে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মহোদয় উপজেলা পর্যায়ে আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর হাতে খুব শীঘ্রই পুরস্কার বিতরণ করবেন। আমাদের এই পুরস্কারটি নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান হাবিব কে উৎসর্গ করলাম। ইনশাআল্লাহ আমাদের জয় সুনিশ্চিত।
২৬৯ দিন ১৪ ঘন্টা ২৫ মিনিট আগে
৩১৪ দিন ১৪ ঘন্টা ১১ মিনিট আগে
৩৬২ দিন ১২ ঘন্টা ৩০ মিনিট আগে
৩৬৩ দিন ১০ ঘন্টা ৭ মিনিট আগে
৪৩২ দিন ৩ ঘন্টা ৩৯ মিনিট আগে
৪৪৬ দিন ১১ ঘন্টা ৩১ মিনিট আগে
৫২৩ দিন ১ ঘন্টা ৩ মিনিট আগে
৫২৯ দিন ২১ ঘন্টা ১ মিনিট আগে