মাদারীপুরের শিবচর উপজেলাটি দেশের বৃহত্তম নদী পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ তীরে অবস্থিত। বিগত সরকারে আমলে পদ্মা সেতু সংলগ্ন এক্সপ্রেসওয়ে ও রেললাইনের জন্যে তৈরি রাস্তা এবং আড়িয়াল খাঁ ও পদ্মা নদীসহ স্থানীয় কয়েকটি নদীর নাব্যতা বৃদ্ধির জন্যে ড্রেজিং করে নদী তীরবর্তী বিভিন্ন স্থানে সরকারিভাবে বালু উত্তোলন করে রাখা হয়। ছাত্র জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে গত কয়েকমাস চলছে অবৈধবাবে বালু বিক্রির হিড়িক। শিবচরের বিভিন্ন নদীর তীরবর্তী পয়েন্টে দশের অধিক বালু মহাল রয়েছে। স্থানীয় ও দলীয় প্রভাব খাটিয়ে কিছু অসাধু মহল ইজারা ছাড়াই ভেকু মেশিন ও ডাম্প ট্রাকের মাধ্যমে এই বালু বিক্রি করছে। এতে একদিকে যেমন হচ্ছে পরিবেশের ক্ষতি আবার আরেকদিকে লাইসেন্স বিহীন বেপরোয়া গতির ডাম্প ট্রাকের কারনে প্রতিনিয়ত ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। গত দশদিনে ডাম্প ট্রাকের চাপায় দুইজন শিশুর মৃত্যুও ঘটেছে। অপরদিকে রাস্ট্র হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। দিনে রাতে শিবচরের সড়ক মহাসড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ভয়াবহ গতির ডাম্প ট্রাক। ঢাকনা বিহীন এই ট্রাকগুলি থেকে বালু উড়ে পড়ছে রাস্তা, ফসলি জমিতে। এতে এখানকার জনগনের শ্বাসকষ্ট সহ বিভিন্ন রোগ বালাই হচ্ছে।
সরজমিনে দত্তপাড়া ইউনিয়নের আড়িয়াল খাঁ নদীর তীরবর্তী কয়েকটি বালুমহালে ঘুরে জানা যায় এখানে সোহেল মৃধা, রিজু, শিশু সরদার ভেকু মেশিন ডাম্প ট্রাক দিয়ে বালু বিক্রি করছে। আবার সন্ন্যাসীচর ইউনিয়নের বালু মহাল থেকে বালু অবৈধভাবে বিক্রি করছে দত্তপাড়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য পিনুর এর ছেলে মাহবুল এবং আলামিন জন। এদের দাপট ও ভয়ে এলাকাসী অতিষ্ঠ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, এরা আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও ক্ষমতাবান আবার বর্তমান সরকারের সময়েও এরা ক্ষমতাবান। এদের কিছু বলার সাহস কারও নেই। এরা সরকারি বালু নিজেদের খেয়াল খুশীমতো যেভাবে ইচ্ছা বিক্রি করে নিজেদের আখের গোছাচ্ছে। অথচ উপজেলা প্রশাসন রহস্যজনকভাবে নীরব ভূমিকা পালন করে আসছে। এ বিষয় শিবচর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, মহালে ফেলে রাখা বালু পানি উন্নয়ন বোর্ডের। তারা এখনও ভূমি অফিসে এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেয়নি তারপরেও আমরা উপজেলা প্রশাসন স্বপ্রনোদিত হয়ে কিছু অভিযান পরিচালনা করছি। ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।
৫৫ দিন ১১ ঘন্টা ১০ মিনিট আগে
৭০ দিন ২৩ ঘন্টা ১ মিনিট আগে
৭২ দিন ১৯ ঘন্টা ২৭ মিনিট আগে
৮৭ দিন ১৬ ঘন্টা ৪০ মিনিট আগে
৯০ দিন ১২ ঘন্টা ৩ মিনিট আগে
১০৩ দিন ২২ ঘন্টা ১৪ মিনিট আগে
১০৬ দিন ১৫ ঘন্টা ৩২ মিনিট আগে