বানারীপাড়ার মেয়ে লামিয়ার আত্মহত্যা, পরিবারের দাবি হত্যা
বরিশালের বানারীপাড়ার মেয়ে লামিয়ার আত্মহত্যা, নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) উপজেলার শ্বশুরবাড়ী থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
১৮ মার্চ মঙ্গলবার রাত ১১:৩০ মিনিটের দিকে নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে লামিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেন নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) থানা পুলিশ।
লামিয়ার পরিবারের দাবি, তাদের মেয়েকে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ীর লোকজন পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে বিষয়টিকে আত্মহত্যা বলে প্রচারণা করছে।
নিহত লামিয়া আক্তার বরিশাল জেলার বানারীপাড়া উপজেলার বিশারকান্দি ইউনিয়নের উমারেরপাড় গ্রামের মামুন মিয়ার মেয়ে ও পিরোজপুরের নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর গগণ গ্রামের বাসিন্দা মো. শাওনের স্ত্রী।
লামিয়ার চাচাতো ভাই মোঃ সজীব অভিযোগ করে জানান, দুই বছর আগে নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) উপজেলার উত্তর গগণ গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে মো. শাওনের সাথে লামিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকসহ বিভিন্ন কারণে প্রায়ই লামিয়ার শশুরবাড়ীর লোকজন লামিয়াকে নির্যাতন করত। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাত ১০টার দিকে লামিয়ার শ্বশুর বাড়ি থেকে তাদের জানানো হয় লামিয়া গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে রাত ১১ টার দিকে লামিয়ার শ্বশুর বাড়িতে পৌছালে সেখানে লামিয়ার লাশ পাওয়া যায়নি। পরে অসুস্থ শুনে হাসপাতালে এসে লামিয়ার মরদেহ দেখতে পাই কিন্তু তার গলায় ফাঁসের তেমন চিহ্ন দেখা যায়নি।
লামিয়ার শ্বশুর মনিরুল ইসলাম জানান, ওই ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেননা। তিনি জানতে পেরেছেন যে পরিবারের সদস্যরা লামিয়াকে রাতের খাবার খাওয়ার জন্য ডাকতে গেলে কক্ষের দরজা বন্ধ পায়। একপর্যায়ে দরজা ভেঙ্গে দেখা যায় লামিয়া গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে। ওই সময় ঘর থেকে তাকে উদ্ধার করে নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করে। কি কারণে লামিয়া গলায় ফাঁস দিতে পারে এ বিষয়ে মনিরুল ইসলাম কিছুই বলতে পারেনি।নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) থানার ওসি মো. বনী আমিন জানান, লামিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য পিরোজপুর জেলা মর্গে প্রেরণ করছে এবং একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্টরের পরে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।