দিনাজপুর জেলার ঢেপা,পুনর্ভবা ও টাঙ্গন নদীর তীর সংরক্ষন কাজের এবং আজিমপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের নব নির্মিত চারতলা ভবনের উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতি গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে সারা বাংলাদেশে যে উন্নয়ন হচ্ছে তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজনৈতিক অঙ্গনে বা নিজের ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য করছে না।বরং উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মানের ফলে যেন আগামী প্রজন্ম সুখী সমৃদ্ধ জীবন যাপন করতে পারে সেই লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে।আজকে কোন মানুষকে অর্ধাহারে অনাহারে জীবন যাপন করতে হয় না। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্যের উধর্বগতি,গ্যাস,বিদ্যুতের ঘাটতি ইত্যাদি নানা অজুহাত তুলে বিএনপি যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে চাচ্ছে তা কখনোই সম্ভব না।কারন আওয়ালীগ সরকার দেশের কথা,মানুষের কথা চিন্তা করে।আর চিন্তা করে বলেই রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে যখন সাড়াবিশ্বই একটা টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যে চলছে সেখান আমাদের দেশের অসহায় মানুষের জন্য ১৫টাকা কেজি দরের চাল,১৮টাকা কেজি দরের আটা অসহায় দুস্থদের মাঝে দিচ্ছে।বয়স্কভাতা,বিধবাভাতা,প্রতিবন্ধী ভাতা,মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা,শিক্ষক ভাতা কোন ক্ষেত্র নেই যেখানে বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার চিন্তা করেনি বা করছে না।প্রত্যেকেই তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে সমানভাবে মুল্যায়িত হচ্ছে।করোনাকালীন সময়েও যখন সাড়াবিশ্ব লক ডাওউনের আওতায় একটি ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল তখনও আমাদের দেশের মানুষকে না খেয়ে থাকতে হয়নি।অসহায়দের ঘড়ে ঘড়ে পৌছে দেয়া হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্য সামগ্রী।প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা কথায় নয় কাজে বিশ্বাস করে।আর কাজের মধ্যেই যে বেচেঁ থাকতে চায় বলেই দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রেখেছে।
৫সেপ্টম্বর শনিবার বিকাল ৪টায় বিরল উপজেলার ১২নং রাজারাম ইউনিয়নে পানি উন্নয়ন বোর্ড কতৃক বাস্তবায়নাধীন ১শ৮০কোটি ৫লক্ষ টাকা ব্যয়ে দিনাজপুর জেলার ঢেপা,পৃনর্ভবা ও টাঙ্গন নদীর তীর সংরক্ষন এবং শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর কতৃক বাস্তবায়নাধীন ৩কোটি টাকা ব্যয়ে আজিমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নব নির্মিত ৪তলা ভবনের উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে উপরোক্ত কথা ছাড়াও নদীর তীর সংরক্ষনে নদী ভাঙ্গন রোধ,বন্যার কবল থেকে রক্ষা,জনসাধারনের ঘড়বাড়ী,রাস্তাঘাট,বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী অবকাঠামো রক্ষার পাশাপাশি প্রকল্প এলাকার জনগনের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের কথা বলেন।এর পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন সঠিক ইতিহাস ও শেখড়কে জানতে হবে।যে বাংলাদেশ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন শাসক গোষ্ঠি শোষন করে পরাধীনতার জিঞ্জিরে আমাদের আবদ্ধ করে রেখেছিল।মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে এই বাংলাদেশকে ৪৯বছরের শাসকগোষ্টির শোষন থেকে মুক্ত করে বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন সার্বোভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্টিত করেছিল হাজারো বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।এই ইতিহাসটা শিক্ষার্থীদের জানাতে হবে তবেই তারা ইতিহাসের প্রকৃত শিক্ষা নিয়ে নিজেদের আগামী দিনের দেশ পরিচালনায় অগ্রনী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।বিরল উপজেলার ১২নং রাজারামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুকুল চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে অন্যান্য বিশেষ অথিতিবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাকিবুল হাসান,শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর,দিনাজপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শাহীনুর ইসলাম,বিরল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ আফসানা কাওসার,বিরল পৌরসভার চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সবুজার সিদ্দিক সাগর,বাংলাদেলশ আওয়ামীলীগ বিরল উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক রমাকান্ত রায়।অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন ১২নং রাজারামপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর সাধারন সম্পাদক মোঃ নাছিম উদ্দিন।
উল্লেখ্য যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়নে ১শ৮০কোটি ৫লক্ষটাকা ব্যয়ে দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলায় ১০টি স্থানে ৭.৯৫কিঃমিঃ এবং বোচাগঞ্জ উপজেলায় ৩টি স্থানে ২.৯৫কিঃমিঃ সহ সর্বমোট ১০.৯০কিঃমিঃ স্থায়ী নদীতীর প্রতিরক্ষা কাজ বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রকল্প এলাকার নদী ভাঙ্গন মুক্ত করন করা হবে।