এ দিকে চার উপজেলার মোট ২৭টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে জানিয়ে নেত্রকোনা সদরের নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া তাবাসসুম জানান, সদরের চারটি ইউনিয়ন কেগাতি, মৌগাতি, মেদনি ও ঠাকুরাকোনার প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি। তারা নিয়মিত বন্যা কবলিতদের খোঁজ রাখছেন এবং শুকনো খাবার বিতরণ করছেন। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এ বছর রোপা আমনের আবাদ হয়েছিলো এক লাখ ৩৫ হাজার ৯০০ হেক্টর। তারমধ্যে বন্যায় গেল ৫ দিনে ২২ হাজার ৬৪১ হেক্টর ধান ও এক হাজার ৬৪৫ হেক্টর সবজি নষ্ট হয়েছে। ৫ লক্ষাধিক কৃষকের মধ্যে ৬৯ হাজার ৪৫০ কৃষক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এতে প্রায় ২৯৩ কোটি টাকা মূল্যের ধান নষ্ট হয়েছে।