দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় সামান্য ঘটনকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিতভাবে মজিবর রহমানকে হত্যার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেফতার করে আসামীদের বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরন করেছে কাহারোল থানা পুলিশ। ধৃত দুই আসামীর বিরুদ্ধে দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আসামী দুজন হলেন দিনাজপুর কাহারোল উপজেলার ২নং রসুলপুর ইউনিয়নের কাঠালিয়া গ্রামের মৃত কামাল উদ্দীনের ছেলে মোঃ মোশারফ হোসেন বাবু(৩৮) এবং একই গ্রামের মোঃ শহীদুল ইসলামের ছেলে মোঃ রুবেল ইসলাম (২৪)।এবং
নিহত মজিবর রহমানও এখই গ্রামের বাসিন্দা।তাদের জমিও পাশাপাশি।
কাহারোল থানায় নিহত মজিবর রহমানের বড় ছেলে মোঃরশিদুল ইসলামের দায়ের করা হত্যা মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায় গত ৩০মে মজিবর রহমান ঢাকা থেকে এসে তার ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটি নিয়ে বেরিয়ে যাবার কিছুক্ষন পর দুপুর আনুমানিক ১২টা ৩০মিনিটে পনরায় ফিরে এসে তার মটরসাইকেলটি তার বন্ধু শ্রী শুশীল কিস্কুর কাছে দিয়ে সাইকেল নিয়ে তাদের বাড়ীর দক্ষিন পার্শ্বে কাঁঠালিয়া নামক স্থানে তার ভুট্রা ক্ষেতে গিয়ে ভূট্রার খড়িগুলোকে পুরিয়ে ফেলার জন্য আগুন লাগিয়ে দিলে আমাদের ভুট্রাক্ষেতের খড়িগুলো পুড়ার পাশাপাশি আসামীদের আমাদের পার্শ্ববর্তী জমিতে থাকা ভুট্রার খড়িও পুরে গেলে আমার আব্বা নষ্ট হওয়া সমপরিমান খড়ির দাম দিয়ে দিতে চাইলেও আসামী মোশারফ হোসেন বাবু গালিগালাজ করতে থাকে এবং রুবেল তার হাতে থাকা বাশেঁর লাঠি নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার আব্বাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায়।৩০মে বাড়ি থেকে বেড় হয়ে আর ফিরে আসেনি।গত ১জুন রাত আনুমানিক ১১টায় একই ইউনিয়নের জনৈক আঞ্জু খাতুন নামক এক মহিলার সংবাদের ভিত্তিতে বাবুল নামক এক ব্যক্তির পাট ক্ষেত থেকে আমার আব্বার লাশ উদ্ধার করি।তিন ধরে আব্বাকে অনেক খোজা খুজি করে না পেয়েও থানায় একটা সাধারন ডায়েরীও করি।কিন্তু কখনো ভাবিনী আমার আব্বাকে এভাবে হত্যা করে লাশ গুম করে রাখবে।এই ঘটনায় আমি ৩জুন কাহারোল থানায় দুইজনের নামসহ ৩/৪জন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করি যাহার মামলা নং২/২৯।এঘটনায় কাহারোল থানার অফিসার ইন চার্য মোঃ রইস উদ্দীনের দিক নির্দেশনা এবং বলিষ্ঠ ভূমিকায় আসামী মোঃ মোশারফ হোসেন বাবু এবং মোঃরুবেল ইসলামকে গ্রেফতার করে রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।এ প্রসঙ্গে কাহারোল থানার অফিসার ইন চার্য মোঃ রইস উদ্দীনের সাথে কথা বললে তিনি প্রতিনিধিকে জানান দুজন আসামীকে ধরা হয়েছে এবং তাদের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।আসামীদের স্বীকারোক্তি পেলেই বুঝা যাবে হত্যার প্রকৃত রহস্য।তবে আমাদের তদন্ত এখনও চলমান রয়েছে।তদন্ত শেষেই হত্যার প্রকৃত ঘটনা ও আরো কারো জরিত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা যাবে।তবে এ প্রসঙ্গে বাবা হারা সন্তান,স্বামী হারা স্ত্রী অপরাধীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি তথা ফাসির দাবী জানান।