গত ৩জুলাই কাহারোল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে ৪নং তারগাঁও ইউনিয়নের বগদৌল পাহাড়পুর এলাকার মৃত সুরুজ মিয়ার ছেলে ধর্ষিতার ভাই মোঃ আমিনুল ইসলামের দায়েরকৃত অভিযোগ সুত্রে জানা যায় গত ৭এপ্রিল ২৩ সন্ধ্যায় অত্র ইউনিয়নের মৃত কেরামত আলীর ছেলে মোঃ মারুফ,আবুল হোসেনের ছেলে আলমগীর ওরফে আলম,মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে ফিরোজ,মোঃ মারুফের স্ত্রী স্বপ্না বেগম,ফিরোজের স্ত্রী তামমিনা এবং কেরামত আলীর স্ত্রী সেলিনা পরস্পর যোগসাজষ করে অসৎ উদ্দেশ্য সাধনে আমার বোনকে অপহরন করে নিয়ে গিয়ে ৯দিন আটক রেখে ধর্ষন করার পর কাহারোল থানায় দায়েরকৃত জিডির ফলে পুলিশের তৎপরতায় আসামীরা নাবালিকা মেয়েটিকে ফেরত নিয়ে এসে ৪নং তারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনোয়ারুল ইসলামের কাছে নিয়ে আসে।কিন্তু চেয়ারম্যান মনোয়ারুল ইসলাম আসামীদের থানায় সোপর্দ না করে আসামীদের পক্ষপাতিত্ব করে মেয়েটিকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়।ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে চেয়ারম্যানকে আসামীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বললে তিনি পরবর্তীতে পরিষদে বিচার সালিশ করে দেবার আশ্বাস দিয়ে ভুক্ভোগীর ভাইকে পাঠিয়ে দেয়।এঘটনায় পরবর্তীতে উপরোক্ত ছয় আসামীসহ ৪নং তারগাঁও ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কাহারোল থানায় ভুক্তভোগীর ভাই একটি এজাহার দাখিল করলেও প্রভাবশালী আসামীদের প্রভাবে তৎকালীন সময়ে দায়িত্বরত ওসি মামলাটি রেকড না করায় পরবর্তীতে আদালতে মামলা দায়ের করেন যাহার মামলা নাম্বার ৪৫৬ এবং মামলাটি বর্তমানে ডিবি পুলিশের তদন্তে রয়েছে।অভিযুক্ত আসামীরা ভুক্তভোগী পরিবার ও সাক্ষীদের মামলাটি তুলে নেবার জন্য বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও চাপ প্রয়োগ করতে থাকলেও ভুক্তভোগীরা কোন তোয়াক্কা না করায় গত ২৭জুন বর্নীত আসামীদের নির্দেশে তাদের অপরাপর সহায়তাকারী পাহাড়পুর জামে মসজিদের ঈমাম মোঃ আবুল হোসেন মুন্সী,বাসুদেবপুর ও পাহাড়পুর এলাকার শামীম রেজা;আলমগীর ওরফে আলম,আবুল হোসেন,মোঃ জয়নাল,মোঃ মোতালেব, আইয়ুব,রফিক,নুর মোহাম্মদ এবং বকুল মেকার একত্রিত হয়ে ভুক্তভোগী পরিবার ও মামলার সাক্ষীদের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারীর সিদ্ধান্ত গ্রহন করে ২৮জুন সকাল ১০টায় ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য আমিনুল ইসলামকে ডেকে বলে সাক্ষী মোঃ ইসমাইল,ইব্রাহীম,সোলায়মান আলী ও মামলার বাদী আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারী করা হয়েছে যে পাহাড়পুর ঈদগাহ মাঠে নামাজ পরতে যেতে পারবে না,ঈদের মাঠে কুরবানীর পশু নিয়ে যেতে পারবে না,যদি যায় তাহলে তাদেরকে 'কতোল'করা হবে।তাদেরকে এক ঘড়ে করে দেয়া হয়েছে।তারা কোন ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠানে যেতে পারবে না বা কেউ তাদের কোন সামাজিক রীতিনীতিতে অংশগ্রহন করতে পারবে না। বোনকে অপহরন করে ধর্ষনের ঘটনায় অভিযুক্ত অপরাধীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা গ্রহনে পদক্ষেপ নেয়ায় আজকে আমাদের একঘড়ে করা হয়েছে এবং ঈদের জামাতে অংশগ্রহনও করতে দেয়নি বলে ভুক্তভোগী আমিনুল ইসলাম জানায়।এবং এরুপ কর্মকান্ডের সাথে জরিতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানান তিনি।আধুনিক সভ্যতার যুগে এমন বর্বোচিত আচরন কখনই উচিত নয় বলে জানান উক্ত এলাকার একাধিক সচেতন ব্যক্তিবর্গ।