লাখাইয়ে শসা -ক্ষীরা চাষে সফল ঈসরাইল মিয়া।
লাখাইয়ে শসা -ক্ষীরা চাষে সফল ঈসরাইল মিয়া।
লাখাইয়ে ক্ষীরা চাষে প্রায় এক যুগ ধরে এ কাজে সম্পৃক্ত। সমাজে সন্মানজনকভাবে বাঁচতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।২ছেলে ২মেয়ে এবং স্ত্রী, মাকে নিয়ে তার সংসার। এমনই একজন সদস্য লাখাই উপজেলার ৬নং বুল্লা ইউনিয়ন এর পুর্ববুল্লা গ্রামের মৃত ফজলুর রহমান এর দ্বিতীয় পুত্র ঈসরাইল মিয়া।
তিনি নিজেকে কৃষি কাজের সাথে সম্পৃক্ত করে সফল হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে আসছেন।
চলতিবৎসর তাঁর বর্গা নেওয়া ৬৪ শতাংশ জমিতে শষা-ক্ষীরা চাষ করেছেন।এ ছাড়াও অন্য একটি জমিতে রয়েছে টমেটো, ,লালশাক,ধনেপাতা,মরিচ।
সরজমিন পরিদর্শন এ দেখা যায় ঈসরাইল মিয়া তাঁর জমিতে ক্ষীরার পাশাপাশি একাধিক বেড/ প্লট তৈরি করে এক একটি প্লটে একেক রকম শাকসবজি চাষ করেছেন।
এ বিষয়ে ঈসরাইল মিয়া জানান আমি এক যুগ ধরে ক্ষীরার পাশাপাশি অন্যান্য সবজি চাষ করে সফলতা পেয়েছি। ৪সন্তান, মা,স্ত্রীকে নিয়ে আমার সুখী সংসার।আমার বড় ছেলে আমির হামজা(১৭) সবজি চাষে সহযোগীতা করে, তার পাশাপাশি সে লাখাই মুক্তিযোদ্ধা ডিগ্রি সরকারি কলেজের এইচ এস সি পরীক্ষার্থী।
তিনি আরো বলেন ক্ষীরা চাষ করে আমার ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে,কৃষি ফর্মুলা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে কোন রকম সহযোগিতা সুপরামর্শ পাইনি।
আমি আমার মতো করে চাষাবাদ করে আসছি। ফলন আশানুরূপ হওয়ায় আমি খুশি। যা উৎপাদন হচ্ছে তাতে আমি বাজারজাত করতে পারছি। এতে আমি লাভবান।
শষা-ক্ষীরার বর্তমান বাজার মূল্য সম্পর্কে জানতে চাইলে ইসরাইল মিয়া বলেন পাইকারি ১০০০ টাকা মন করে বিক্রি করা হচ্ছে, প্রতি শনি ও মঙ্গলবার হাট হওয়ায় , সপ্তাহে দুইদিন বিক্রি করা হচ্ছে, এই দুই দিনে প্রায় ১০ মনের মত বিক্রি করা যায়।
কৃষিতে আমি স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছি, এ ক্ষেত্রে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর সহযোগিতা পেলে আরো ভালো করতে পারব।