চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার কদমরসুলপুর এলাকায় ‘সীমা অক্সিজেন’ নামের একটি অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৬ জন নিহত ও ৩০ জন আহত হয়েছেন ।
শনিবার (৪ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ বিস্ফোরণ ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সীতাকুণ্ড ও কুমিরা স্টেশনের ৯ টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। জানা গেছে, বিস্ফোরণের মাত্রা এতটাই তীব্র ছিল যে এর ফলে দুর্ঘটনাস্থল থেকে উড়ে যাওয়া প্ল্যান্টের একটি লোহার টুকরার আঘাতে আধা কিলোমিটার দূরে এক ব্যক্তি নিহত হন।
ঘটনার পরপর জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন।
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান উপস্থিত সাংবাদিকদেন বলেন, এ বিস্ফোরণের ঘটনায় ৬ জন নিহত হয়েছেন। আমরা ঘটনাস্থলে আছি বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশেক জানান, সীতাকুণ্ড কদমরসুল এলাকার সীমা অক্সিজেন ফ্যাক্টরিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত হয়ে চমেক হাসপাতালে এখনও পর্যন্ত ১৭ জন ভর্তি হয়েছে।
আহতদের চমেকের ক্যাজুলয়াটি ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আহত মোঃ নূর হোসেন (৩০), মোঃ আরাফাত (২২), মোতালেব (৫২), ফেনসি (৩০), জসিম উদ্দিন (৪৫), নারায়ণ (৬০), মোঃ ফোরকান দাদা (৩৫), শাহরিয়ার (২৬), মোঃ জাহিদ হাসান (২৬), শামসুল আলমসহ (৫০) মোট ১৭ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন
এদিকে এ ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। পাশাপাশি চিকিৎসা সহায়তারও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
তদন্ত কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে চট্টগ্রাম অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাকিব হাসানকে। অন্যান্যরা হলেন- সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সীতাকুণ্ডের সহকারী কমিশনার (ভূমি), পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের ডিআইজি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স প্রতিনিধি ও বিস্ফোরক পরিদপ্তর এর প্রতিনিধি।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান , অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাকিব হাসানকে প্রধান করে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাও থাকবেন এবং এ
কমিটিকে পাঁচ কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছ।
তিনি গণমাধ্যম কে বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। “আহতদের চিকিৎসার সব খরচ ও ওষুধ দেওয়া হবে।”