সারাদেশে বর্তমান আতংকের নাম হলো রাসেল ভাইপার নামের এক প্রজাতির সাপ।দেশের অনেক জেলায় এই সাপের দেখা মিলছে সেই সাথে এই সাপের কামড়ে বেশকিছু মৃত্যুর সংবাদ ও পাওয়া গেছে।
রাজধানী ঢাকার সাভারেও এই সাপের দেখা মিলেছে। আজ ২৩শে জুন(রবিবার)সাভারের নামা বাজার ও বিরুলিয়া ইউনিয়ন এর আইঠর এলাকায় এই সাপ এর দেখা মিলেছে।এলাকাবাসী সংঘবদ্ধ হয়ে হত্যা করেছে সাপগুলোকে।
উল্লেখ্য,বাংলাদেশের বেশ কিছু জেলায় রাসেল ভাইপার বা রাসেল’স ভাইপার সাপ নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ফেসবুকে এই বিষয়টি নিয়ে অনেকে নানাভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। অনেকে প্রচার করছেন যে সাপটি কামড় দিলে দ্রুত মানুষের মৃত্যু হয়।
পরিস্থিতি এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যে রাসেল ভাইপার সাপ মেরে ফেলার প্রচারণাও চালানো হচ্ছে ফেসবুক সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
এমন পরিস্থিতিতে ফরিদপুরের একজন রাজনীতিবিদ প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছেন যে রাসেল ভাইপার সাপ যে মারতে পারবে তাকে প্রতিটি সাপের জন্য ৫০ হাজার টাকা নগদ পুরস্কার দেয়া হবে।
অনেকে বলছেন, রাসেল ভাইপার খুব দ্রুত বংশ বিস্তার করে। ফলে সহসা বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে এই সাপের আধিক্য মানুষের জন্য হুমকি তৈরি করবে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, রাসেল ভাইপার নিয়ে যে মাত্রায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে তা কতটা যৌক্তিক?
রাসেল ভাইপার সম্পর্কে সাপ গবেষক ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ প্রজাতির সাপ কামড়ালে আমাদের দেশে তারও চিকিৎসা আছে এবং সময়মতো চিকিৎসা নিতে পারলে সাপের কামড়ে আক্রান্ত ব্যাক্তির মৃত্যু ঝুঁকি কমে আসে।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ডিপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক কনজারভেশন ফাউন্ডেশন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলছে, রাসেল ভাইপার মোটেও দেশের সবচেয়ে বিষধর কিংবা প্রাণঘাতী সাপ নয়।
বরং আমাদের দেশে প্রতি বছর সাপের কামড়ে যত লোক মারা যায় তার অর্ধেকই মারা যায় পাতি কেউটে সাপের কামড়ে। তবে সময়মত চিকিৎসা না নিলে রাসেল ভাইপারের কামড়েও মৃত্যু হতে পারে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন দৈনিক দেশচিত্র কে বলেছেন, দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিষ প্রতিষেধক বা অ্যান্টিভেনম (সাপ কামড়ালে রোগীর শরীরে প্রয়োগ করা হয়) আছে এবং সকল সরকারী হাসপাতালগুলোতে অ্যান্টিভেনম রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
দ্রুত অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন দিলে, অ্যান্টিভেনমের অ্যান্টিবডিগুলো বিষকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। এর ফলে আক্রান্ত ব্যক্তির জীবন বা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বেঁচে যায়।উল্লেখ্য, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি জেলায় রাসেল ভাইপারের কামড়ে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।ঢাকার কাছেই মানিকগঞ্জের কিছু এলাকায় গত তিন মাসে বিষধর রাসেল ভাইপার সাপের কামড়ে অন্তত পাঁচজন মারা গেছে বলে সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এরপর ভোলাসহ আরো কয়েকটি জেলায় এ ধরনের সাপ মারার খবর এসেছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাবে, ২০২৩ সালে ৪ লাখ সাপের কামড়ের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে সাড়ে ৭ হাজার মানুষ মারা গেছে যাদের বেশির ভাগই কোবরা ও কেউটে প্রজাতি সাপের কামড়ের কারণে মৃত্যুবরণ করেছেন।তবে রাসেল ভাইপারের কামড়ে ঠিক কতজন মারা গেছে তার সুনির্দিষ্ট হিসাব এখনো পাওয়া যায়নি।
২৭৪ দিন ২১ ঘন্টা ২১ মিনিট আগে
২৮২ দিন ১৫ ঘন্টা ৫৪ মিনিট আগে
২৮৭ দিন ২০ ঘন্টা ২৪ মিনিট আগে
৩৩৪ দিন ১৫ ঘন্টা ২৮ মিনিট আগে
৩৫৯ দিন ২২ ঘন্টা ৬ মিনিট আগে
৩৭২ দিন ১৬ ঘন্টা ৫৪ মিনিট আগে
৩৭৫ দিন ১৩ ঘন্টা ৩১ মিনিট আগে
৩৭৫ দিন ২২ ঘন্টা ৪২ মিনিট আগে